Naga Sadhvi: নাগা সন্ন্যাসিনী হতে গেলে মানতে হয় কঠোর নিয়ম, যা শুনলে অশ্রু ধরে রাখতে পারবেন না

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Naga Sadhvi: শীতকাল মানেই দেশে সর্বত্রই উৎসব-মেলার রমরমা। তেমনি এই শীতকালে পালিত হয় সনাতন ধর্মালম্বীদের এক বিশেষ উৎসব মহাকুম্ভ। যে উৎসব উপলক্ষে মকর সংক্রান্তির পূণ্যলগ্নে প্রয়াগরাজে গঙ্গা স্নানে যান বহু হিন্দু পূণ্যার্থী। কথিত আছে এই সময় গঙ্গাস্নান করলে পাপ ক্ষয় হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরেও মহাকুম্ভ উপলক্ষে বিরাট ধর্মীয় সমাবেশ লক্ষ্য করা গেছে প্রয়াগরাজে। মকর সংক্রান্তি মিটে গেলেও পুণ্যার্থী, সাধু-সন্ন্যাসীদের ভিড় কমেনি প্রয়োগরাজে। নাগা সাধুদের পাশাপাশি দেখা মিলছে নাগা সন্ন্যাসিনীদেরও। কিন্তু জানেন কি এই নাগা সন্ন্যাসিনীদের জীবনযাত্রা কেমন? তারা কিভাবে নাগা সন্ন্যাসিনী হয়ে উঠেছেন? শুনলে চোখ কপালে উঠবে।

Advertisements

মহাকুম্ভে আগত বহু পুণ্যার্থীরা নাগা সাধুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ফলে নাগা সাধুদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ভারতীয় সংস্কৃতিতে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু নাগা সন্ন্যাসিনীদের দেখা মিললেও তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নাগা সন্ন্যাসিনীদের জীবনধারণ, খাওয়া-দাওয়া, তাদের সন্ন্যাসিনী হয়ে ওঠার বিষয়ে জানার অনেকেরই কৌতুহল রয়েছে। যা আজকের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। কিভাবে নাগা সন্ন্যাসিনী (Naga Sadhvi) হয়ে উঠেছেন তারা?

Advertisements

জানা গিয়েছে নাগা সন্ন্যাসিনী হতে গেলে মানতে হয় কঠোর নিয়ম। তবে নাগা সাধু এবং সন্ন্যাসিনীদের নিয়ম রীতি ভিন্ন ভিন্ন। নাগা সন্ন্যাসিনী হওয়া বেশ কষ্টকর বিষয়। কঠিন কঠিন পরীক্ষায় সফল হলেই নাগা সন্ন্যাসিনী হওয়া যায়। নাগা সন্ন্যাসিনী হতে গেলে গুরুকে প্রণাম করে পুরো জীবন ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করতে হয়। নাগা সন্ন্যাসিনী হওয়ার প্রাথমিক বিষয় হল ৬ থেকে ১২ বছর ব্রহ্মচর্য পালন করা।

Advertisements

আরও পড়ুন:Maha Kumbh 2025Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে স্নানের দরকার নেই, যাওয়া খরচ থেকে হোটেল ভাড়া শুনলে ঘামে স্নান করে যাবেন

এছাড়াও নাগা সন্ন্যাসিনী (Naga Sadhvi) হতে গেলে মহা কুম্ভের সময় গোপনে জীবিত অবস্থায় পিন্ডদান করতে হয়। তারপর মহিলাদের ন্যাড়া হতে হয়। যেক্ষেত্রে পিন্ড দানের পর নাগা সাধুরা মাথায় চুল বা জটা রাখে। মহা কুম্ভে থাকার জন্য নাগা সাধু এবং সন্ন্যাসিনীদের আলাদা আলাদা তাঁবু থাকে। পূণ্যস্নানের ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিন্ন নিয়ম। নাগা সাধুদের স্নানের পর পুণ্যস্নান করতে হয় নাগা সন্ন্যাসিনীদের। পোশাকের ক্ষেত্রেও রয়েছে পার্থক্য। নাগা সন্ন্যাসিনীদের পরনে থাকে গেরুয়া রঙের ঢিলেঢালা গান্টি, কপালে তিলক এবং শরীরে ছাইভস্ম মাখা। তবে খাদ্যের দিক থেকে নাগা সাধু এবং সন্ন্যাসীদের প্রায়ই মিল রয়েছে। এরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেন ফল, শাকসবজি, বিভিন্ন গাছের শিকড় ইত্যাদি।

তবে নাগা সন্ন্যাসিনীদের জীবন রহস্যে আবৃত। মহাকুম্ভ ছাড়া বাকি সময় মহিলা নাগা সাধুরা বসবাস করেন পাহাড় অথবা গুহায়। এনাদের নাগা সন্ন্যাসিনী ছাড়াও অন্য নামে ডাকা হয়। কেউ ডাকে অবধুতানি, অঘোরি। বা কেউ নাগিন বলেও মহিলা নাগা সাধুদের সম্মোধন করেন। ব্রহ্মচর্য দশা কাটিয়ে ওঠার পর নাগা সন্ন্যাসিনী হওয়ার (Naga Sadhvi) যোগ তৈরি হয়। ফলে বিশেষ বিশেষ শুভ সময়ে এই মহিলা নাগা সাধুরা তপস্যা, সাধনা, পুজো পাঠ করে থাকেন।

Advertisements