নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পড়শী রাজ্য ঝাড়খন্ড (Jharkhand)। এমন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পার সোরেনের (Champai Soren) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা। আর সেই জল্পনা যদি সত্যি হয় তাহলে অনেকেই মনে করছেন হয়তো ঝাড়খণ্ডে ফের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার গঠন হতে পারে।
তবে চম্পাই সোরেন বিজেপিতে যোগ দিলেই এনডিএ সরকার গঠন হবে এমনটা নয়। কেননা ঝাড়খন্ডে এনডিএ শিবিরের থেকে ইন্ডিয়া শিবির অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। যা শোনা যাচ্ছে তাতে চম্পাই সোরেন সহ আরও ৬ জন জেএমএম ও কংগ্রেস বিধায়ক ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে এনডিএতে যোগ দিতে পারে। কিন্তু তা হলেও সেখানে এখনই এনডিএ সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে না। যদিও এনডিএ শিবির অনেক শক্ত জায়গায় পৌঁছে যাবে।
অন্যদিকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনার মাঝেই চম্পাই সোরেন দিল্লি পৌঁছালে সেই জল্পনা আরো বড় আকার নেয়। যদিও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চম্পাই সোরেন জানিয়েছেন, তিনি আপাতত যেখানে আছেন অর্থাৎ যে দলে রয়েছেন সেখানেই রয়েছেন। তিনি দিল্লি এসেছেন ব্যক্তিগত কাজে, তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য। তবে এসবের মধ্যেও কিন্তু তিনি জল্পনা জিইয়ে রেখে দিয়েছেন। কেননা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ তুললে তিনি পরে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচন শেষবার হয় ২০১৯ সালের নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে। ঝাড়খন্ড বিধানসভায় মোট ৮২ টি আসন রয়েছে। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়া শিবিরের দখলে রয়েছে ৪৫ টি আসন। অন্যদিকে এনডিএ শিবিরের দখলে রয়েছে ৩০ টি আসন। যদি ৬ জন বিধায়ক এখনই ইন্ডিয়া শিবির ছেড়ে এনডিএ শিবিরে যোগ দেন তাহলে ঝাড়খন্ড বিধানসভার ফিগার দাঁড়াবে ইন্ডিয়া ৩৯ এবং এনডিএ ৩৬। বিধানসভায় সরকার ও বিরোধী পক্ষ একে অপরকে কড়া টক্কর দেবে। যদিও এনডিএ-র পক্ষে সরকার গঠন সম্ভব হবে না।
এক্ষেত্রে যদি এখনই ঝাড়খন্ডে এনডিএকে সরকার গঠন করতে হয় তাহলে অন্ততপক্ষে ইন্ডিয়া জোট থেকে মোট ৮ জন বিধায়ককে টানতে হবে। তবে যেহেতু ২০২৪ সালের নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে ফের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে ঝাড়খণ্ডে, তাই রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই সরকার গঠনের লক্ষ্যে হয়তো এনডিএ যাবে না, বরং তারা বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠনের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে।