সুখবর, নিয়ম বদলের পাশাপাশি বাড়লো আয়কর জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশ করোনা মহামারীর প্রকোপে বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে চলছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটে দেশের মানুষ বিপর্যস্ত। দেশের মানুষের স্বার্থে ২০১৯-২০ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় আয়কর দপ্তর। পাশাপাশি বেশকিছু নিয়মে আনা হলো পরিবর্তন।

শনিবার আয়কর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে দেশকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। সেই পরিস্থিতি বিচার করেই আয়কর জমা দেওয়ার সময় সীমা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে গত অর্থবছরের আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ৩০শে জুন এবং ৩১শে অক্টোবর। করানো পরিস্থিতিতে তা বাড়িয়ে করা হয় ৩১শে জুলাই পর্যন্ত। নতুন করে তা বাড়িয়ে নভেম্বর পর্যন্ত করা হল। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে এই কর-অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।

সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্স (CBDT) চলতি বছরে শুরুতে এবং এপ্রিলের শেষে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় আয়কর জমা দেওয়ার ফর্মে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হবে।
এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ITR-1 (সহজ), ITR-2, ITR-3, ITR-4 (সুগম), ITR-5, ITR-6, ITR-7 এবং ITR-V ফর্মে পরিবর্তন আনা হবে।

পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে

১. ইলেকট্রিক বিলের জন্য ১ লাখের বেশি খরচ করে থাকলে ওই ফর্মেই রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।

২. এছাড়াও চলতি অর্থবছরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার বেশি জমা করে থাকলে তা জানাতে হবে আয়কর দপ্তরকে।

৩. করদাতাদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলে এবং তাতে ১ কোটির বেশি জমা পড়লে তাও আয়কর দপ্তরকে জানাতে হবে।

৪. ব্যক্তিগত কোন ভ্রমণে ২ লাখ টাকার বেশি খরচ করলে ITR জমা দেওয়ার সময়ে পাসপোর্ট নম্বর জমা করতে হবে আয়করদাতাকে (যদি পাসপোর্ট থাকে)।

সেইসঙ্গে যে তথ্যগুলি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো

ই -ফাইলিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম ট্যাক্সের ফাইল রিটার্ন করা হয়।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ITR ফাইল জমা না করে হলে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

আধার ও প্যান কার্ডের লিঙ্ক করার সময়সীমা ৩১শে মার্চ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সুবিধাগুলো জারি করেছে আয়কর দপ্তর যাতে দেশের মানুষ সমস্যার মধ্যে না পড়েন।