Vodafone-idea is going to enter the arena with 5G: যতই দিনই এগোচ্ছে, ততই মানুষ আরো দ্রুত ছুটছে। আগে বেশিরভাগ মানুষই সাইকেল ব্যবহার করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া আসা করতেন। কিন্তু এখন সমাজের অধিকাংশ মানুষেরই বাইক বা স্কুটি আছে। তার কারণ একটাই – খুব দ্রুত কিভাবে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো যায়। তবে টেকনোলজির ক্ষেত্রে মানুষ পিছিয়ে থাকবে কেন? সেই রকমই যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব আনতে চলেছে 5G (Vodafone-Idea 5G) পরিষেবা।
টেকনোলজি বা প্রযুক্তিও যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে দুরন্ত গতিবেগে ছুটে চলেছে। তাই 2G, 3G ও 4G কে পিছনে ফেলে এখন এগিয়ে এসেছে 5G ইন্টারনেট পরিষেবা। ইতিমধ্যে Reliance Jio ও Airtel – এই দুই বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা 5G পরিষেবা লঞ্চ করে ফেলেছে। কিন্তু তৃতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা, Vodafone এখনো এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে। এর ফলে Vodafone-Idea 5G এর পরিষেবার অভাবে প্রতিনিয়ত একটু একটু করে খোওয়াতে হচ্ছে তাদের গ্রাহক সংখ্যা।
যদিও পিছিয়ে থাকার একটি বড় কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ফান্ডের অভাব। বেশ কিছু সময় ধরে একটি কঠিন অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল Vodafone। এর ফলে অন্যান্য বৃহত্তম টেলিকম সংস্থাগুলোর সাথে ইঁদুর দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছিল VI। তবে আর বেশি দিনের অপেক্ষা নয়। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন বড় বড় ব্যাংকের সাথে আলোচনা সারা হয়ে গেছে এবং এক ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছ থেকেই জানা গিয়েছে যে, আগামী জুনের মধ্যেই ফান্ড সংগ্রহ করে Vodafone-Idea 5G লঞ্চের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করে ফেলবে।
যখন প্রথম দেশে Vodafone টেলিকম সংস্থাটি গড়ে ওঠে, তখন Vodafone এর সাথে পাল্লা দেওয়ার কোন সংস্থা ছিল না। পরে ভোডাফোন যুক্ত হয় আইডিয়ার সাথে। তার মধ্যে বাজারে চলে আসে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি। প্রতিযোগিতা শুরু হয় তুঙ্গে। তবে ভোডাফোন আইডিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার পরেও তারা ঠিকভাবে ব্যবসা জমাতে পারেনি।
দেশের বিভিন্ন কোনায় কোনায় Reliance Jio, Airtel তাদের 5G পরিষেবা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে। এর ফলে দেশের একটি বড় সংখ্যক জনগণ ঝুঁকছে এই দুটি টেলিকম সংস্থার প্রতি। এতদিন ভোডাফোন আইডিয়া বুঝতে পেরেও কোন উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারছিল না। অবশেষে ফান্ড সংগ্রহের সমস্যা মিটে গেলে জানা গিয়েছে যে, আগামী জুনের মধ্যেই Vodafone-Idea 5G পরিষেবা শুরু হবে।