নিজস্ব প্রতিবেদন : মে মাসের শেষের দিকে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই কেরলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে গিয়েছে। ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরল ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যেও প্রবেশ করেছে বর্ষা (Monsoon)। এরপর ৩১ মে বর্ষার আগমন হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও। কিন্তু তারপর থেকে আর এতটুকু নড়েনি দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং ইত্যাদি জেলায় গত কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টির পর এবার ধীরে ধীরে হেল দোল শুরু করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। টানা ১৯ দিন এক জায়গায় থাকার ফলে দক্ষিণবঙ্গে এখনো পর্যন্ত বর্ষার আগমন হয়নি। উপরন্তু যখন উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেই সময় দক্ষিণবঙ্গ তীব্র গরমে পুড়ছে।
দক্ষিণবঙ্গে যেখানে ১০ জুন বর্ষা প্রবেশ করে যায় এবং ১২ জুনের মধ্যে গোটাবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ছড়িয়ে যায়, সেই জায়গায় ২০ জুন হয়ে গেলেও কিন্তু এখনো পর্যন্ত বর্ষার পদার্পণ হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বর্ষা প্রবেশ না করার কারণে একদিকে যেমন বৃষ্টির অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে ঠিক সেই রকমই আবার তালে তাল মিলিয়ে বেড়েছে গরম। তবে এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সুখবর মিললো হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।
টানা ১৯ দিন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কিছুটা এগিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে হাওয়া অফিস সূত্রে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কিছুটা এগিয়ে উত্তরবঙ্গ লাগোয়া বিহারের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হলেও কিন্তু এখনো বর্ষা ঢোকেনি। সুখবর এটাই যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু একটু এগোনোর ফলে দক্ষিণবঙ্গের দিকে তা এগিয়ে আসবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
বর্ষার আগমনের আগে দিন দুয়েক ধরে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় বৃহস্পতিবার দুপুরবেলাতেও বৃষ্টি হয়েছে। এই সকল পূর্বাভাস এখন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য সুখবর। তবে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে, মৌসুমী বায়ু প্রবেশের ক্ষেত্রে যে শর্ত প্রয়োজন হয় সেই শর্ত এখনো পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে পূরণ হয়নি। যে কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছে এমনটা কোনোভাবেই এখন বলা যাবেনা। তবে যেহেতু উত্তরবঙ্গ থেকে সামান্য সরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিহারের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে তাই দক্ষিণবঙ্গেও খুব তাড়াতাড়ি প্রবেশ করবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে।