নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা অতিমারি থেকে বাঁচার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের বহু গবেষক সংস্থা ইতিমধ্যেই টিকার সমস্ত রকম পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভারতেও একাধিক টিকার শেষ পর্যায়ে ট্রায়াল চলছে। আর এই ট্রায়ালে রয়েছেন দেশের হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী।
ভারতীয় যেসকল করোনা টিকা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালের রয়েছে তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল আইসিএমআর এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। আর এই টিকার শেষ পর্যায়ে ট্রায়ালের অংশ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গে এসেছে ১০০০ ডোজ। যেগুলির প্রয়োগ খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের নাইসেড থেকে এই সকল টিকার প্রয়োগ করা হবে স্বেচ্ছাসেবীদের উপর। আর এবার একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এই টিকা নিতে চলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
মহানগরের প্রথম নাগরিক হিসাবে তিনি প্রথম এই টিকা নেবেন তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। এবার তিনি জানিয়েছিলেন কবে তার উপর এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। সোমবার ফিরহাদ হাকিম এবিষয়ে জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের ২ তারিখ অর্থাৎ বুধবার বিকেল চারটের সময় নাইসেডে তিনি এই ভ্যাকসিন নিতে চলেছেন।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের যে সকল শহরে এই টিকার ট্রায়াল শুরু হচ্ছে সেই সকল শহরের প্রথম নাগরিকদের সর্বপ্রথম টিকা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। আর এই পদ্ধতিতে টিকা নেওয়ার ডাক পেয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তবে অন্যান্য একাধিক শহরের প্রথম নাগরিকদের তেমন প্রস্তাব দেওয়া হলেও অনেকেই সাহস দেখাতে পারেননি। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই কো-মর্বিডিটি রয়েছে। কিন্তু ফিরহাদ হাকিম এই প্রস্তাবে এক কথায় রাজি হয়ে যান।
এপ্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “করোনাভাইরাস বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে। তাই এর সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে যদি প্রাণ দিতে হয় তো দিতে রাজি আছি। এভাবেও মানুষের সেবা করা যায়।”