নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছরে ভারতীয় রেল (Indian Railways) রেলের ইতিহাসে নতুন নতুন অধ্যায় লিখছে। ইতিমধ্যেই রেলের তরফ থেকে দেশের রেল ট্র্যাকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে। তবে এর থেকেও বড় ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) দৌলতে। কেননা মাটির তলা এখন রেলের কাছে অতীত হতে চলেছে এবং বুলেট ট্রেন দৌড়াবে পাহাড় ফুঁড়ে।
আস্ত একটি পাহাড়ের ভিতর দিয়ে টানেল তৈরি করার পর সেই টানেলের ভিতর দিয়ে বুলেট ট্রেনের মত দ্রুতগামী ট্রেন ছোটানো সত্যিই চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে সেই চ্যালেঞ্জ ইতিমধ্যেই হাতের তালুর মধ্যে চলে এসেছে মূলত প্রথম এমন পর্বত টানেল তৈরি করার পরিপ্রেক্ষিতে। ভারতীয় রেলের নতুন এই সকল কারনামা দেশকে উন্নত থেকে উন্নততর দেশে পরিণত করার দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
মাটির তলাকে অতীত করে পাহাড় ফুঁড়ে এমন বুলেট ট্রেন ছুটানোর কাজটি চলছে মুম্বাই আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডরের মধ্যে গুজরাতের ভালসাদে। বৃহস্পতিবার এই হাই স্পিড রেল করিডরের প্রথম পর্বত টানেল তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পর্বতের ভিতর দিয়ে যাওয়া এই টানেলের মধ্যে বুলেট ট্রেন ঘন্টায় ৩৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে।
মুম্বাই আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডরের প্রথম যে পর্বত টানেল তৈরি করা হয়েছে সেটি হর্সশু আকৃতির। এই টানেলের ভিতর দিয়ে দুটি রেল ট্র্যাক তৈরি করা হবে, যার ভিতর দিয়ে দুটি বুলেট ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে। এই টানেলটি মোট ৩৫০ মিটার দীর্ঘ। এর ব্যাস ১২.৬ মিটার এবং উচ্চতা ১০.২৫ মিটার। মুম্বাই আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডরের মধ্যে এরকম আরও ৬টি টানেল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
এমন টানেল তৈরি করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হল টানেলটিকে সোজা রাখা। কেননা বুলেট ট্রেনের মত ট্রেন যখন দ্রুত গতিতে ছুটবে সেই সময় সেখানে পাহাড়ের টানেলের ভিতর বাঁক রাখা মানে বড় বিপদ ডেকে আনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই টানেলটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে করে এক মিলিমিটারেরও বাঁক না থাকে।