নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালের মাঝেই গত বছর পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ভয়ঙ্কর সেই মুহূর্তের কথা আজও স্মৃতি হয়ে আছে বাংলার মানুষের সামনে। তবে শুধু আম্ফান নয়, এর পাশাপাশি মাসখানেকের মধ্যেই আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল মহারাষ্ট্র ও গুজরাত উপকূলে। এছাড়াও গত বছর একাধিক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল ভারত ভূস্বর্গে। আর এবার বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার সম্ভাবনার কথা জানালো হাওয়া অফিস।
চলতি বছর এখনো পর্যন্ত ভারতবর্ষে কোন রকম ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে নি। তবে এবার একটি সাইক্লোন আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে মৌসম ভবনের তরফ থেকে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই এই সাইক্লোন সমুদ্রগর্ভে ফুঁসতে শুরু করেছে। আরব সাগরে তৈরি হচ্ছে এই সাইক্লোন এবং পূর্বাভাস যদি সত্যি হয় তাহলে আগামী ১৬ই মে তা আছড়ে পড়তে পারে ভূখণ্ডে।
আইএমডি-র তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। যে কারণে লাক্ষাদ্বীপ সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। পরে এই ঘূর্ণিঝড় আস্তে আস্তে দক্ষিণ পশ্চিমের দিকে সরতে থাকবে।
মৌসম ভবনের তরফ থেকে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে তা যদি তৈরি হয় তাহলে তার নাম হবে তাউকতাই, নামটি মায়ানমারের দেওয়া। তবে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া বা আছরে পড়ার আগে দেশের একাধিক রাজ্যে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাসও আবহাওয়া অফিসের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে।
[aaroporuntag]
অন্যদিকে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার প্রভাব পড়বে মূলত কেরল, কর্ণাটক, লাক্ষাদ্বীপ ও তামিলনাড়ু এই সকল রাজ্যগুলিতে। পাশাপাশি গোয়া এবং গুজরাত উপকূলও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। ঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার থাকার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।