নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের জন্য রেল পরিষেবার উপর নির্ভর করে থাকেন। বিপুলসংখ্যক এই যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রেলের (Indian Railways) তরফ থেকেও প্রতিনিয়ত পরিষেবা উন্নত থেকে উন্নততর করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে স্বাচ্ছন্দ আনার পাশাপাশি এবার লোকাল ট্রেনে (Local Train) স্বাচ্ছন্দ আনার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রেল।
রেলের তরফ থেকে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে সেই সকল পদক্ষেপের অংশ হিসাবে এবার পূর্ব রেল (Eastern Railway) দুর্গা পুজোর ঠিক আগে এমন এক উপহার দেওয়া হচ্ছে যা এর আগে কোনদিন পায় নি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা। কেননা এই উপহার লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের জন্য। আসলে পূর্ব রেলের তরফ থেকে এবার লোকাল ট্রেনে পরীক্ষামূলকভাবে যুক্ত করা হচ্ছে ফার্স্ট ক্লাস কামরা।
লোকাল ট্রেনে যে প্রথম শ্রেণীর কামরা যুক্ত করা হবে সেই সকল কামরা হবে রাজকীয়। কাঠ আর লোহার সিট আর থাকবে না। এই সকল কামরায় থাকা সিটগুলি হবে গদির মতো। যেখানে বসে আরাম করে যাত্রীরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যেতে পারবেন। এর পাশাপাশি এই সকল কামরার মেঝেতে কার্পেট পাতা থাকবে। ট্রেনের কামরার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য কামরার গায়ে নানান ধরনের ছবি আঁকা থাকবে।
আপাতত সব লোকাল ট্রেনে এই ধরনের কামরা যুক্ত করা হবে না। পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ব রেল একটি রুটে এই ধরনের কামরা সংযুক্ত করতে চলেছে। সেই পরীক্ষায় যদি সফলতা আসে তাহলে আগামী দিনে অন্যান্য লোকাল ট্রেনগুলিতেও এই ধরনের ফার্স্ট ক্লাস কামরা সংযুক্ত করা হবে। আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এমন পরিসেবা চালু হতে চলেছে রানাঘাট শিয়ালদা রানাঘাট মাতৃভূমি লোকাল ট্রেনটিতে। এই পাইলট প্রজেক্টে কত ভালো সফলতা মেলে তার ওপর নির্ভর করে অন্যান্য মাতৃভূমি লোকাল ট্রেনগুলিতে এমন কামরা লাগানোর পরিকল্পনা করবে পূর্ব রেল।
কবে থেকে শুরু হবে এই পাইলট প্রজেক্ট? জানা যাচ্ছে আগামী ১৪ অক্টোবর অর্থাৎ দেবী পক্ষের সূচনার দিন থেকেই এই পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়ে যাবে। ঐদিন থেকেই রানাঘাট শিয়ালদা রানাঘাট মাতৃভূমি লোকালে এমন স্পেশাল ফার্স্ট ক্লাস কামরার দেখা মিলবে। এক্ষেত্রে একটি কামরা এইরকম ফার্স্ট ক্লাস রাখা হবে এবং অন্যান্য কামরাগুলি যেমন রয়েছে অর্থাৎ আগের মতোই থাকবে।