Fish Prasadam is given in this place of India to relieve breathing problems: বড় বিচিত্র এই দুনিয়া। রোজ কতকিছু নিত্য-নতুন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, তা একমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই আমরা জানতে পারছি। এমন এমন অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটছে যা শুনে এবার দেখে তাজ্জব হবেন আপনিও। এর আগে কখনো প্রসাদে মাছ (Fish Prasadam) খেয়েছেন? আজকের প্রতিবেদনে এমন একটি খবর আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি যেখানে জানবেন কিভাবে এই মাছ প্রসাদ খেয়ে সুস্থ হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
সাধারণ মানুষ দলে দলে ভিড় করে বিভিন্ন মন্দিরে। মন্দিরে পুজোর পর সাধারণত ফল, মিষ্টি ছাড়া অন্ন ভোগ, খিচুড়ি ইত্যাদি প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে। মানুষের বিশ্বাস এই প্রসাদ খেয়ে তারা পুণ্য অর্জন করতে সক্ষম হন। কিন্তু আজকের প্রতিবেদনে বলবো এক বিরল প্রসাদের কথা। হায়দ্রাবাদের এক বিশেষ সময় মাছের প্রসাদ খাওয়ানো হয়। এবং লোকের মধ্যে বিশ্বাস যে, এই মাছের প্রসাদ (Fish Prasadam) গ্রহণ করলে নাকি তারা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা অ্যাস্থমা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
শুনলে অবাক হবেন যে বলা হয়ে থাকে যারা আমিষ খান তারা যদি জ্যান্ত শোল মাছ হলুদ দিয়ে মেখে গোটা গিলে খেতে সক্ষম হন, তবে তাদের অ্যাস্থমা রোগ কমে যাবে। তবে এক বছর নয় পরপর তিন বছর এই ভাবেই এই মাছ খেতে হবে। আর যারা মাছ খান না তাদের ক্ষেত্রে জ্যান্ত শোল মাছটি গুড় দিয়ে মেখে গোটা খেলে তবেই অ্যাস্থমা সারবে।
আরও পড়ুন ? Coughing: কাশি সারাতে দাওয়াই ‘বিড়ি’! এই ম্যাজিক সম্পর্কে ৯০% মানুষই জানেন না
হায়দ্রাবাদের বৈঠিনি গৌড় পরিবার রয়েছে। আর তাদের মাধ্যমেই এই মাছ প্রসাদ (Fish Prasadam) বিতাড়িত হয় হাজার হাজার ভক্তদের মধ্যে। তাদের মুখ থেকে শোনা গেছে যে, ১৮৪৫ সালে প্রথম এক সাধু এসেছিলেন তাদের পরিবারে। সেই সাধুই নাকি এই অদ্ভুত মাছ প্রসাদের কথা বলে যান। এটি নাকি এক অপরিসীম শক্তি সম্পন্ন ওষুধ এবং তিনি তাও বলে দেন যে এই প্রসাদ মানুষের মধ্যে কোনরকম দান বা টাকা ছাড়াই বিলি করতে হবে। তবেই নাকি এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে। সেই সাধুর কথা অনুযায়ী, ১৮৪৫ সালের পর থেকেই এই প্রসাদ বিতরণ চলছে।
মনে প্রশ্ন জাগছে – কবেই প্রসাদ দেওয়া হয়? জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই প্রসাদ বিলি করা শুরু হয়। তবে মাছ-প্রসাদের কিন্তু আরেক নামও রয়েছে। অনেক জন এই প্রসাদকে বিস্ময়কর ওষুধ বলে থাকেন। আবার বেশ কিছুজনের মুখে এই প্রসাদের নাম মৃগসিরা কার্তি নামেও পরিচিত। প্রতিবছর প্রায় ৫০০ কিলোর কাছাকাছি প্রসাদ (Fish Prasadam) বিতরণ করেন এই পরিবার।