‘সত্যি বলছি, আমি কেষ্ট নই’, দেখতে একই রকম হলেও ইনি অনুব্রত নন

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘সত্যি বলছি, আমি কেষ্ট নই’। ঠিক এই ভাবেই কাতর আবেদন করতে দেখা গেল এক মাছ ব্যবসায়ীকে। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিড়ম্বনা। আর সেই বিড়ম্বনার জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে ওই মাছ ব্যবসায়ী (Duplicate Anubrata Mondal)।

বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দোলের দিন নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লি। দিল্লিতে তাকে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে যখন তোড়জোড় শুরু হয়েছে সেই সময় থেকেই রীতিমতো ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর সেই ট্রেন্ডিং থেকেই হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেখা যায় ডুপ্লিকেট অনুব্রত মণ্ডলকে। এমনকি তার ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করতেও দেখা যায় বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে (Anupam Hazra)।

আসলে হুবহু অনুব্রত মণ্ডলের মতো দেখতে যে ব্যক্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তার ভাইরাল হওয়ার পিছনে রয়েছে অন্যতম একটি কারণ। অনুব্রত মণ্ডল অতীতে মাছ বিক্রি করতেন এবং তারপর তার রাজনৈতিক উত্থান। ব্যাস, এর পরিপ্রেক্ষিতেই দুয়ে দুয়ে চার করে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে সে যাই হোক ওই ব্যক্তি অনুব্রত মণ্ডলের অল্প বয়সের মত হুবহু দেখতে হলেও তিনি কিন্তু অনুব্রত নন।

অনুব্রত মণ্ডলের মতো একই রকম দেখতে ইয়ং অনুব্রত মণ্ডল হুগলির শেওড়াফুলির নিমাইতীর্থ ঘাট এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে শেওড়াফুলি বাজারে ব্যবসা করছেন। তবে এরই মধ্যে আঁশবটি নিয়ে পা ছড়িয়ে বসে মাছ বিক্রির একটি ছবি ভাইরাল হয়। আর তারপর থেকেই বিড়ম্বনায় পড়েছেন ইয়ং অনুব্রত সুকুমার হালদার।

বর্তমানে তার পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে মানুষের প্রশ্নে প্রশ্ন প্রশ্নে বিব্রত হয়ে তিনি রীতিমতো রেগে গিয়ে বলছেন, ‘আমি কেষ্ট মণ্ডল নই, সুকুমার। এবার কি ছাতিতে সাঁটিয়ে ঘুরব?’ এদিকে সুকুমার বাবুর স্ত্রীও এই ঘটনায় রেগে কাঁই। তিনি জানিয়েছেন, “কোনও অসৎ কাজ করিনি। সেখানে এক গোরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্তর সঙ্গে কেন আমার স্বামীর তুলনা!”