Five Reason to lose India World Cup Final 2023: ১৫০ কোটির স্বপ্ন ভঙ্গ। হাত ছোঁয়া দূরত্বে থেকে গেলো বিশ্বকাপ। টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে এসে হেরে গেলো ভারত। অন্যদিকে ২০১৫ এর পর আবারো কাপ জিতে ছয় বারের মত বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিল অস্ট্রেলিয়া। গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ভারত মুখ থুবড়ে পড়ল ফাইনালে (World Cup Final) এসে। কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। কোথায় হারলো ভারত? খুঁজতে বসলে অনেক কারণই উঠে আসবে। যার মধ্যে প্রধান পাঁচটি কারণ দেখা যাক।
টসে হার
আমেদাবাদ এর এই পিচ যথেষ্ঠ স্লো। যেখানে প্রথমে ব্যাট করে বড় রান তোলা খুবই কষ্ট কর। কিন্তু ফ্লাড লাইটে রান তাড়া করা তুলনমূলকভাবে বেশ সহজ। তাই টসে জিতে প্রথমে বল করাটা বেশ সুবিধাজনক। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ টসেই হেরে বসে ভারত এবং ফাইনালের মত ম্যাচে (World Cup Final) প্রথমেই ব্যাক ফুটে চলে যায়।
অতিরিক্ত রক্ষণাক্তক মনোভাব
এক মাত্র রোহিত শর্মা বাদে ভারতের কোনো ব্যাটার দ্রুত রান তুলতে পারেনি। মিডিল অর্ডারের ব্যাটাররা অতিরিক্ত পরিমাণে শ্লথ ব্যাটিং করায় ফাইনালের মত ম্যাচে (World Cup Final) নির্ধারিত ওভার শেষে যথেষ্ঠ রান বোর্ডে তোলা সম্ভব হয়নি। যার ফলে ভারতের দেওয়া ২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা ৪২ বল হাতে রেখেই পার করে যায় অজিরা।
কুয়াশা
আমেদাবাদে নভেম্বরের মাঝামাঝি প্রচুর কুয়াশা পড়ে। যার ফলে রান তাড়া করা সহজ হয়ে যায়। কুয়াশায় ইনিংসের প্রথম দিকে বল সুইং করলেও পরের দিকে বল খুব ভালো ভাবে ব্যাটে আসে। তাই ইনিংসের প্রথম কিছু ওভার কাটিয়ে দিতে পারলে পরের ওভারগুলিতে ব্যাট করতে খুব একটা সমস্যা হয় না। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ৭ ওভারের মধ্যে ৪৭ রানে ৩ উইকেটে হারিয়ে ফেলে তারা। কিন্তু কুয়াশা পড়া শুরু হতেই নির্বিষ হয়ে যায় ভারতীয় বোলিং।
ষষ্ঠ বোলার
হার্দিক পন্ডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পর স্কোয়াডে আসেন মহম্মদ শামি। কিন্তু তিনি দুর্দান্ত বোলিং করায় ষষ্ঠ বোলারের অভাব তেমন একটা অনুভূত হয় না। কিন্তু কোনো বোলারের খারাপ দিন গেলেও রোহিতের হতে কোনো বিকল্প থাকে না। আজ (World Cup Final) মাঝের ওভার গুলিতে জাদেজা বা কুলদীপ উইকেট তুলতে না পারলেও কিছু করার ছিল না ভারত অধিনায়কের।
ফিল্ডিং
আজকের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া যত ভালো ফিল্ডিং করেছে ঠিক ততটাই বাজে ফিল্ডিং করেছে ভারত। ভারতকে ২৪০ রানে রুখে দিতে পারার পিছনে অজিদের ফিল্ডিংয়ের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। মাঠে ওয়ার্নাররা কম করে ৩০ রান ঠেকিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে ভারতের রান যেখানে ২৭০ থেকে ২৮০ রান হওয়ার কথা। সেটা নেমে দাড়ায় ২৪০ এ। অন্য দিকে এত কম রান ডিফেন্ড করতে নেমে একের পর মিস ফিল্ডিং করে ভারত, যার ফলে বেশ কিছু অতিরিক্ত রান দিয়ে ফেলে তারা। দিনের শেষে এগুলিই জেতা এবং হারার মাঝে পার্থক্য গড়ে দেয়।
তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের অধিনায়কত্বের প্রশংসা করতেই হবে। পুরো ম্যাচ (World Cup Final) জুড়ে তার বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ডিং সাজানো ছিল অনবদ্য। সেই সাথে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং ভারতকে প্রথম থেকেই চাপে রেখেছিল। তাই দিন শেষে যোগ্য দল হিসাবে ভালো ক্রিকেট খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।