Five star hotels are nothing in front of these five trains of India: প্রযুক্তি ও উন্নত পরিষেবার দিক থেকে ভারতীয় রেল এখন অনেকটাই এগিয়ে আছে। অপরিচ্ছন্নতা এবং অনুন্নত পরিষেবার জন্য অনেকে রেলকে খুব অপছন্দ করতো কিন্তু মধ্যবিত্তদের কাছে রেল হল যাতায়াতের সবথেকে বড় মাধ্যম। রেলকর্মীরাও নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করত না। তবে বর্তমানে ট্রেনের গতি এবং পরিষেবা দুটোতেই অনেক স্বাচ্ছন্দ্য চলে এসেছে। ভারতীয় রেলের বন্দে ভারত ট্রেন হল এর সবথেকে বড় উদাহরণ। এই দেশে এমন কিছু ট্রেন রয়েছে যেগুলোর কামরা থেকে শুরু করে শৌচাগার পর্যন্ত সবই খুব অপরিচ্ছন্ন। আবার এমন অনেক ট্রেন আছে যা হার মানিয়ে দেবে যে কোন সাত তারা হোটেলকেও। এই রাজকীয় ট্রেনগুলোর পরিষেবা এবং আভিজাত্য দেখলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না, আর সেই কারণে এই ট্রেনগুলো ভারতের সবথেকে ব্যয়বহুল ট্রেন বলে গণ্য হয় (Most Luxurious Train)। এই ট্রেনগুলোতে যাত্রা করলে আপনার নিজেকে রাজা মহারাজা মনে হবে কিন্তু এর খরচ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এই ট্রেনগুলোর একটি টিকিটের দাম দিয়ে বাড়ি-গাড়ি, হিরে, মনি-মানিক্য সবকিছুই কিনতে পারবেন।
ডেকান ওডিসি ট্রেনটি চালু করা হয়েছিল প্যালেস অন হুইলস্-এর মডেলের অনুকরণে এবং মহারাষ্ট্রের পর্যটন আকর্ষণ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ট্রেনটি তৈরি করা হয়েছিল (Most Luxurious Train)। ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয় মুম্বই থেকে এবং তারপর রত্নাগিরি, সিন্ধুদুর্গ, গোয়া, ঔরঙ্গাবাদ, অজন্তা-ইলোরা নাসিক সহ ১০টি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কভার করে এই ট্রেনটি। এর ভাড়া শুনলে অবাক না হয়ে আপনি পারবেন না। একজন ব্যক্তিকে একটি ডিলাক্স কেবিনের জন্য দিতে হয় ৪,৭৬,৮৬৯ টাকা এবং একটি প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের জন্য ১০,৩২,৪৫০ টাকা।
মহারাজা এক্সপ্রেস ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ট্রেনগুলির মধ্যে অন্যতম এবং এটি IRCTC দ্বারা পরিচালিত। তবে ট্রেনটি শুধুমাত্র চলে অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। ট্রেনটি যাত্রা পথে রাজস্থানের বারোটি জায়গাকে কভার করে। এই বিলাসবহুল ট্রেনটিতে (Most Luxurious Train) একজন ব্যক্তির ৪ দিন এবং ৩ রাতের জন্য ডিলাক্স কেবিনের ভাড়া আনুমানিক ২.৮০ লক্ষ টাকা। আবার কেউ যদি প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট বুক করেন সেক্ষেত্রে এই ভাড়া বেড়ে দাঁড়ায় ১২,৯০০ ডলার বা প্রায় সাড়ে দশ লক্ষ টাকা। এই ট্রেনে করে যদি আপনি সেপ্টেম্বর এবং এপ্রিল মাসে ভ্রমণ করতে চান তাহলে তালিকায় থাকবে রাজস্থানের পাঁচটি স্থান। সেই তালিকায় থাকবে রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করা, জয়পুরে হাতির পোলো ম্যাচে অংশ নেওয়া এবং খাজুরাহো মন্দির পরিদর্শন।
২০০৯ সালে ভারতীয় রেল চালু করেছিল রয়্যাল রাজস্থান অন হুইলস্। এই ট্রেনটি প্যালেস অন হুইলস এর পরবর্তীকালে চালু হয়েছিল। পর্যটকরা বিলাসবহুল রাজস্থান ভ্রমণের জন্য অনেকেই এই ট্রেনটিকে বেছে নেন। এতে পর্যটকরা রাজস্থানে ৭ দিন ও ৮ রাত ঘোরাঘুরি করার সুযোগ পান। অন্যান্য বিলাসবহুল ট্রেনের তুলনায় এর ভাড়া কিছুটা হলেও কম। ডবল শেয়ারিং ডিলাক্স কেবিনের জনপ্রতি ভাড়া ৪,৮৮,২৮০ টাকা (Most Luxurious Train) ।
রাজস্থানের গৌরব হল প্যালেস অন হুইলস্ ট্রেন, যায় অন্দরসজ্জা ৫ তারা হোটেলকেও পিছনে ফেলে দেবে (Most Luxurious Train)। ট্রেনটিতে রাজস্থানের সভ্যতা ও সংস্কৃতির স্পষ্ট ছাপ পরিলক্ষিত হয়। ১৯৮২ সালের শুরু হওয়া এই বিলাসবহুল ট্রেনের মধ্যে ছিল ব্রিটিশ আমলের রাজকীয় কোচ। এছাড়াও রাজ্যের তৎকালীন শাসকদের ব্যক্তিগত কোচ এই ট্রেনে উপস্থিত ছিল। এই ট্রেন নতুন দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করে, জয়পুর সওয়াই মাধোপুর, চিতোরগড়, উদয়পুর, জয়সলমির, জোধপুর, ভরতপুর এবং আগ্রার মতো শহরগুলিকে কভার করে। এই বিলাসবহুল ট্রেনের অভিজ্ঞতা নিতে গেলে আপনাকে খরচ করতে হবে ৩,৬৩,৩০০ টাকা। এছাড়া তালিকায় আরো একটি অন্যতম বিলাসবহুল ট্রেন রয়েছে যার নাম হলো দ্য গোল্ডেন চ্যারিয়ট। ট্রেনটি দক্ষিণ ভারতের গোয়া, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরি ভ্রমণে নিয়ে যায়। আপনি যদি এই ট্রেনে যাত্রা করতে চান তাহলে ৭ রাতের জন্য ভাড়া দিতে হবে ১,৮২,০০০ টাকা। ট্রেনটিতে ভ্রমণের সময় আপনি সবুজ অরণ্য এবং জলপ্রপাতের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও ট্রেনের মধ্যে থাকবে স্পা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, বার এবং রেস্তোরাঁ।