ভাঙলো অজয়ের বাঁধ, হিংলোর পাড়, হু হু করে ঢুকছে জল

Laltu Mukherjee

Updated on:

লাল্টু : শক্তিশালী নিম্নচাপের কারণে বীরভূমের অধিকাংশ এলাকায় গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। এই প্রবল বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে তা টের পাওয়া যাচ্ছিল বৃহস্পতিবার থেকেই। আর সেই অশনিসঙ্কেত বাস্তবায়িত হতে শুরু করে শুক্রবার।

একাধিক জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ার কারণে বীরভূমের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অজয়, হিংলো সহ বিভিন্ন নদ-নদীতে হু হু করে বাড়তে শুরু হোক করে জলস্তর। সেই জলস্তর নদী বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়ছে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায়। বাঁধ ভেঙে জল ঢোকার কারণে প্লাবিত হয়ে পড়েছে বীরভূম ছাড়াও পূর্ব বর্ধমানের একাধিক গ্রাম।

সকাল থেকে হিংলো নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশডাঙ্গা গ্রামে। যে কারণে সকাল থেকেই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনিকভাবে এই সকল এলাকায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শুধু নদী পাড় না, এর পাশাপাশি অতিবৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়েছে বেশকিছু পুকুরের পাড়। মাছ চাষীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন। এই এলাকার নদী তীরবর্তী চাষযোগ্য বিঘার পর বিঘা জমি সব বর্তমানে জলের তলায় চলে গিয়েছে। এলাকার দেবীপুর চর সম্পূর্ণ জলের তলায়। সেই সকল বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। পুজোর আগে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে এই সকল এলাকার বাসিন্দাদের মাথায় হাত পড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, দুবরাজপুর ব্লকের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই সকল এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে ৫০টিরও বেশি কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।

অন্যদিকে একই ভাবে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইলামবাজার ও নানুর ব্লক এলাকায়। নানুর ব্লকে থুপসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিধাইয়ে ভেঙে গিয়েছে অজয় নদের বাঁধ। এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুতের গতিতে জল ঢুকে পড়েছে এলাকার অন্ততপক্ষে ১৮ থেকে ২০ টি গ্রামে। প্লাবিত হয়েছে বাসাপাড়া, তাখরা, রামকৃষ্ণপুর, সিন্দুরপুর। এই সকল এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ চালানো হচ্ছে প্রশাসনিকভাবে।