Follow these ways to make both mother and wife happy in married life: বিবাহের পর একটা পুরুষের জীবনে আসে নানা পরিবর্তন। বিয়ের আগে সে তার পরিবারের মধ্যেই থাকে, বাবা মার ভালোবাসা পেয়ে তার জীবন চলতে থাকে সুন্দর গতিতে। যখন কোনো পুরুষ নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হন জীবনে আসে আমূল পরিবর্তন। প্রেমিকা যখন স্ত্রী হিসাবে বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে খুশি রাখার দায়িত্ব অবশ্যই সেই পুরুষটির। আবার নিজের মা যে কিনা ছোট থেকে বড় করে তুলেছে তাকে খুশি রাখাও উচিত। কিন্তু দুজনকেই একসাথে ভালো রাখা আদৌ সম্ভব? তার জন্যই মানতে হবে কিছু টিপস (Married life Tips)।
বহু নতুন সম্পর্কের সৃষ্টি হয় যেমন শাশুড়ি বৌমা, স্বামী স্ত্রী ইত্যাদি। এই নতুন অভিজ্ঞতা সবার জীবনেই আসে। মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে এক ছাদের নীচে থাকার অভিজ্ঞতা কিন্তু খুব চ্যালেঞ্জিং। বহু ছেলেকেই এই পরিস্থিতিতে দোটানায় পড়তে দেখা যায়। কিভাবে একই সংসারে থেকে মা এবং স্ত্রী দুজনকেই সুখে রাখা যায় সেটাই আজকের প্রতিবেদনের আলোচ্য বিষয় (Married life Tips)।
মেয়েরা বরাবর কোন বিষয় নিয়ে সহজে হাল ছেড়ে দেয় না। যখনই আপনার কাছে দুজনে কোনো বিষয়ে মতামত জানতে চাইবে হঠাৎ করে আবেগের বশে কাউকে কোন উত্তর দেবেন না। প্রয়োজন হলে তাদের কাছে সময় চেয়ে নিন। দুজনের মতামত শুনে তাদের খারাপ এবং ভালো দিকগুলোর লিস্ট তৈরি করে ফেলুন। পরে সময় করে দুজনকে আলাদা করে বুঝিয়ে বলুন আপনার মতামত সম্পর্কে। দেখবেন এতে বিবাদ অনেকটাই কম হবে (Married life Tips)।
বিবাহিত জীবনে স্ত্রী এবং মাকে একসাথে খুশি করা খুবই কঠিন কাজ। তাই যে কোনো রকম বিপদে পড়লে অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিয়ে নিন। সেটা আপনার বাবা হতে পারে কিংবা কোন আত্মীয়-স্বজন হতে পারে। অভিজ্ঞ ব্যক্তি কাছ থেকে পরামর্শ নিলে আপনি যেকোনো বিপদে পড়লে তা থেকে উদ্ধার হতে পারবেন। বিবাহিত পুরুষকে আরেকটি কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে (Married life Tips), স্ত্রী এবং মায়ের মধ্যে কোন কারনে মতানৈক্য দেখা দিলে যেকোনো একজনকে সাপোর্ট করে কোন রকম কথা বলা যাবে না। তাহলে দ্বিতীয় জন মনে আঘাত পাবে। এহেন পরিস্থিতিতে বিবাদ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো এবং তাদেরকে বলতে হবে নিজেদের ঝামেলা নিজেরাই মিটিয়ে নিতে। স্ত্রী এবং মা নিজেরা যদি আলাপ আলোচনা মাধ্যমে বিবাদের সমাধান করে তাহলে সম্পর্কের উন্নতি হবে।
যদি দেখেন বাড়ির মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে দুজনেই দুরকম মত প্রকাশ করছে, সেই পরিস্থিতিতে দুজনকে আলাদা আলাদা করে ডেকে আপনার মনের কথা ভালোভাবে বোঝান। তারা দুজনেই আপনাকে ভালোবাসেন তাই আপনার কথার দাম তারা অবশ্যই দেবেন। উপরিউক্ত পরামর্শগুলো যদি বাস্তব জীবনে কাজে লাগানো যায়, তাহলে মা এবং স্ত্রী উভয়কে নিয়ে সুখে সংসার করা সম্ভব।