নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একত্রিত হয়ে গঠন করেছে I.N.D.I.A. জোট। এই জোটে রয়েছে ২৮ টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। তবে এখনো পর্যন্ত জোটের মাথা কে হবেন? জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন? ইত্যাদি আসন বন্টন সহ আরও একাধিক বিষয়ে জট না খোলায় বারবার মিটিংয়ে শামিল হতে হচ্ছে ২৮ রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। ঠিক সেই রকমই মহারাষ্ট্রে ৩১ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর দুটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
মুম্বাইয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) দুদিন আগেই পৌঁছে যান। এছাড়াও একান্তে বৈঠক হয়েছে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং অভিষেক ব্যানার্জির (Abhishek Banerjee)। এছাড়াও বিজেপি বিরোধী ২৮ রাজনৈতিক দলের লালু প্রসাদ যাদব থেকে তেজস্বী যাদব, সীতারাম ইয়েচুরি সহ তাবড় তাবড় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আর এই সকল নেতা-নেত্রীদের জন্য ছিল রাজকীয় আয়োজন।
মুম্বাইয়ের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে তৃতীয় দফার মিটিংয়ের প্রথম মিটিং হয়। এই হোটেলেই জোট সদস্যদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়। যেখানে ২৮ রাজনৈতিক দলের ৬৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই ৬৩ জন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সদস্যদের জন্য ১০০ টি রুম বুকিং করা হয়েছিল। এছাড়াও আশেপাশের বেশ কিছু হোটেলের অনেক রুম বুকিং করা হয়েছিল। এছাড়াও খাওয়া-দাওয়া এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও আয়োজনে কোনরকম খামতি রাখা হয়নি।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সদস্যদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। সন্ধ্যাবেলায় নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতার পর রাত আটটায় আয়োজন করা হয়েছিল নৈশভোজের। I.N.D.I.A. জোটের প্রথম যে দুটি বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল সেই দুটি বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের জনপ্রিয় সব খাবার জায়গা পেয়েছিল। তবে এবারের এই বৈঠকের প্রথম রাতের নৈশভোজে ছিল কেবলই মারাঠি খাবারদাবার। শুধু নৈশভোজ নয়, ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে লাঞ্চ সবেতেই রাখা হয়েছিল মারাঠি খাবার।
খাবার-দাবারের এই মেনুতে জায়গা পেয়েছিল মুম্বইয়ের বিখ্যাত বড়া পাও থেকে শুরু করে ঝুনকা বাখর, পুরণপুলি। এছাড়াও ছিল স্টাফড বেগুন, বাখারওয়াড়ি, নারকেলওয়ড়ি, নাচিনি ওয়েফার। চা, কফি তো ছিলই, তার সঙ্গে ছিল নারকেলের জল, লেমোনেড ও ফ্রুট জ্যুস। মিষ্টির মধ্যে ছিল কোকোনাট কারাঞ্জি, দুধি মাওয়া ও মোদক। ছিল গরম গরম পুরণপুলি, শ্রীখন্ডপুরী।