নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের চাষীদের জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই চাষিরা এই সকল প্রকল্প সম্পর্কে জানেন না অথবা জেনেও নানান অসুবিধার কারণে সেগুলিতে আবেদন করেন না। আবার অনেকেই এই সকল প্রকল্পের সুবিধা পেতে হয়রানি হতে হবে এমনটা ভেবে সুবিধা নেওয়ার মতো কোন পরিকল্পনায় করেন না।
তবে এবার সহজেই যাতে চাষিরা এই সকল বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান তার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নতুন একটি ব্যবস্থা আনা হলো। যে ব্যবস্থা অনুযায়ী চাষীদের জন্য তৈরি করা হবে ১২ ডিজিটের ইউনিক আইডি। সেই ইউনিক আইডির মধ্য দিয়েই চাষিরা সহজে পেয়ে যাবেন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা।
কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব বিবেক আগরওয়াল জানিয়েছেন, দেশের কৃষকদের জন্য ১২ ডিজিটের এই ইউনিক আইডি কার্ড তৈরি করার কাজে হাত লাগিয়েছে কেন্দ্র। কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবা মসৃণভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে ওই আইডি কার্ড। এই আইডি কার্ডের মাধ্যমে একাধিক সুবিধা পাবেন চাষীরা।
সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে জানানো হয়েছে, এই আইডি কার্ড কৃষকদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে এবং লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে চটজলদি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে ফসল সংগ্রহ সংক্রান্ত কাজকর্মে আরও ভালোভাবে প্ল্যান করতে সাহায্য করবে এই আইডি কার্ড।
তবে এই আইডি কার্ড কবে থেকে দেশের চাষিরা পাবেন তা সম্পর্কে এখনো সঠিকভাবে কোন দিনক্ষণ জানা যায়নি। বিবেক আগারওয়াল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই আইডি কার্ড তৈরি করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ৮ কোটি চাষীর ডেটাবেস তৈরি হলেই এই আইডি কার্ড চালু করে দেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ ১১ টি রাজ্যের চাষীদের ডেটাবেস তৈরি হয়েছে।
এই আইডি কার্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে চাষীদের আধার কার্ড, সাহায্য নেওয়া হবে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের। মোটের উপর এই আইডি কার্ড চালু হয়ে যাওয়ার পর কৃষকদের বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে আবেদন করার সময় আলাদা আলাদা করে নথি আপলোড করার মত ঝামেলায় পড়তে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ১২ ডিজিটের এই আইডি কার্ডই হবে চাষীর পরিচয়, যেখানেই থাকবে সমস্ত নথি।