Nabadwip Dham Railway Station: ভারতীয় রেলওয়ে হল দেশের লাইফ লাইন, দেশের প্রতিটি প্রান্ত এবং কোণ জুড়ে এবং প্রায় প্রতিটি শহরকে রেলের বৃহত্তম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করে যা এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে একটি করে তোলে। ভারতীয় রেলওয়ের ৬৫,৮০৮ কিলোমিটার রুটে ৭,১১২টি স্টেশন রয়েছে যা যাত্রী, পণ্যবাহী ওয়াগন এবং মালবাহী যানবাহনের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এত কম খরচে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের কাজ বোধহয় পৃথিবীর আর কোন রেল নেটওয়ার্ক করে না। তাই তো দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগনের কাছে পরিবহনের মাধ্যম হিসাবে ভারতীয় রেল প্রথম বিকল্প।
ভারতের রেলওয়েগুলিকে কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলি হল যথা, ১)মধ্য রেল, ২) কোঙ্কণ রেল, ৩) উত্তর রেল, ৪) উত্তর মধ্য রেল, ৫) উত্তর পূর্ব রেল, ৬) উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল, ৭) উত্তর পশ্চিম রেল, ৮) পূর্ব রেল, ৯) পূর্ব মধ্য রেল, ১০) পূর্ব উপকূল রেল, ১১) দক্ষিণ রেল, ১২) দক্ষিণ মধ্য রেল, ১৩) দক্ষিণ উপকূল রেল, ১৪) দক্ষিণ পূর্ব রেল, ১৫) দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেল, ১৬) দক্ষিণ পশ্চিম রেল, ১৭) পশ্চিম রেল, ১৮) পশ্চিম মধ্য রেল।
এই সব রেল অঞ্চলগুলির মধ্যে কিছু স্টেশনের প্লাটফর্মগুলি অতিরিক্ত রকমের দীর্ঘ। তার অন্যতম কারণ উপজুক্ত জায়গার সংকুলান। এদের মধ্যে অন্যতম হল গোরখপুর রেলওয়ে স্টেশন, কোল্লাম জংশন কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর। এদের মধ্যে গোরখপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম বিশ্বের মধ্যে দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম। তবে জেনে অবাক হবেন যে, পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপ ধাম স্টেশনটিও একটি বিশেষ কারণে বিখ্যাত।
আরো পড়ুন: শীঘ্রই চালু হচ্ছে সিউড়ির রেল সেতু, অপেক্ষার অবসান আগামী বছরেই
নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশনটির (Nabadwip Dham Railway Station) প্লাটফর্ম দেশের মধ্যে সপ্তম দীর্ঘতম এবং বিশ্বের ১৭ তম দীর্ঘ রেলস্টেশন। নবদ্বীপ ধাম রেল স্টেশনটি পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া বিভাগের প্রশাসনিক এখতিয়ারের অধীনে পড়ে। এটি রাজ্যের নদীয়া জেলায় অবস্থিত এবং নবদ্বীপ শহরের প্রধান স্টেশন। সমস্ত EMU বা লোকাল ট্রেন, প্যাসেঞ্জার এবং এক্সপ্রেস ট্রেন এই স্টেশনে থামে। এটি ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখা লাইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। উত্তরবঙ্গ, আসাম, কলকাতা ইত্যাদির সাথে এটির খুব ভালো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
নবদ্বীপ রেলওয়ে স্টেশনটিতে (Nabadwip Dham Railway Station) ৭২০ মিটার বা ২৩৬৩ ফুট এর দৈর্ঘ্য সহ দেশের সপ্তম দীর্ঘতম প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এটি হাওড়া থেকে প্রায় ১০৫ কিমি এবং কাটোয়া জংশন থেকে ৩৮ কিমি দূরে অবস্থিত। নবদ্বীপ শহরটিকে হিন্দুদের একটি পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থানও বটে। এই স্টেশনে নেমেই পর্যটকরা মায়াপুরের বিশ্ব বিখ্যাত ইসকন মন্দির দেখতে পারেন।