নিজস্ব প্রতিবেদন : ইতিমধ্যেই একটি ঘূর্ণিঝড় তাওকতে আরব সাগর থেকে তৈরি হয়ে আছড়ে পড়েছে স্থলভাগে। আর এর পাশাপাশি আরও একটি গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালো হাওয়া অফিস। নতুন করে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে এবং তার অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ।
আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হতে শুরু করেছে। এই গভীর নিম্নচাপ আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। আর তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে আছড়ে পড়বে সুন্দরবন এলাকায়।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, নিম্নচাপের তোড়জোড় দেখে অনুমান করা হচ্ছে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আগামী ২৩ থেকে ২৫ শে মে’র মধ্যে সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই।
জেলাগুলিতে বড় ধরনের ঝড়-বৃষ্টি লক্ষ্য করা যেতে পারে। সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকা থেকে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ণ শক্তি নিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের আছড়ে পড়লে তা আম্ফানের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্বাভাস মতো বঙ্গোপসাগরে যদি এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে তার নাম হবে ‘যশ’।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, করোনাকালে গত বছর মে মাসেই পশ্চিমবঙ্গের উপর আছড়ে পড়েছিল আম্ফান ঘূর্ণিঝড়। যে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছিল রাজ্যের বেশিরভাগ জেলার বেশিরভাগ অংশ। সেই স্মৃতি এখনো দগদগে রয়েছে রাজ্যের বাসিন্দাদের সামনে। আর সেই স্মৃতিকে উস্কে দিয়েই ফের চলতি বছর মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি।