নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে। বৃষ্টি শুরু হতে লক্ষ্য করা গিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং কলকাতার একাধিক অংশে। আর সোমবার রাত থেকেই এই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে, সাগর ও ওড়িশার পারাদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা বালেশ্বরে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তার আগে এবং পরে রাজ্যের কোন কোন জেলায় কোন কোন দিন কি পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে তার আগাম পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।
২৫ মে : মঙ্গলবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। তবে এর পাশাপাশি অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।
২৬ মে : ঘূর্ণিঝড় যশ এই দিন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। এই দিন অর্থাৎ বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তীব্র বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীপুরে। এছাড়াও হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা, দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সময় সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার।
[aaroporuntag]
২৭ মে : বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায়। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে এই দিন ঘন্টায় ৭৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।