‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের ১০০০ টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করলো রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ২৪ শে মার্চ থেকে দেশে চলছে লকডাউন। এই লকডাউনের কারণে সবথেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন অসংগঠিত শ্রেণীর শ্রমিকেরা।কারণ এরা সরকারি চাকুরীজীবী নন ও এদের কাজের সংস্থান বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্য সরকার এই মাসের ১৫ই এপ্রিল এই সকল শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে একটি নতুন স্কিম চালু করেন। যে স্কিমটির নাম হল ‘প্রচেষ্টা’। এই প্রকল্পে সমস্ত অসংগঠিত শ্রেণীর শ্রমিকেরা এককালীন ১০০০ টাকা করে পাবেন। এতে তারা লাভবান হবেন।

এই প্রকল্পের আওতায় কারা কারা আসবেন?

অসংগঠিত শ্রেণীর শ্রমিকেরা গরীব মানুষেরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিপিএল, এসসি, এসটি এইসব দেখা হবে না। ১৫ই এপ্রিল থেকে শুরু হয় প্রক্রিয়া, চলার কথা ছিল আগামী ১৫ই মে পর্যন্ত।

এই প্রকল্পটি পেতে গেলে কি কি লাগবে?

১) যিনি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন তাকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।

২) এই ফরমটি পূরণ করার জন্য তাকে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড এবং আধার কার্ডের প্রমান পত্র জমা দিতে হবে।

৩) এছাড়া তাকে দিতে হবে বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র।

৪) দরিদ্র শ্রেণীর মানুষেরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন।

৫) উপভোক্তাদের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর লাগবে।

৬) এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিপিএল, এপিএল, এসসি, এসটি বলে কিছু দেখা হবে না। আবেদন করার পর সমস্ত নথিপত্র সত্য বলে প্রমাণিত হলে সেই পরিবার পেয়ে যাবেন ১০০০ টাকা।

এই ফর্মটি ফিলাপ করে বিডিও অথবা এসডিও অফিসে জমা দেওয়ার পর সমস্ত তথ্য সত্য বলে প্রমাণিত হলে উপভোগ তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে সরাসরি হাজার টাকা পৌঁছে যাবে। এমনটাই ছিল প্রচেষ্টা প্রকল্পের স্কিম।

কিন্তু এখন মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখলেন। কারণ একটাই, এই প্রকল্পের ফর্ম তোলার জন্য শ্রমজীবী মানুষেরা ভিড় করে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি নির্ধারিত নিয়মটুকুও মানছেন না। এই প্রকল্পের ফর্মগুলি রাজ্যের প্রশাসনিক দপ্তর এসডিও, বিডিও অফিসগুলিতে পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য বিধি না মেনে শ্রমিকরা এমনভাবে ভিড় করে দাঁড়াচ্ছে লজ্জা তাদের জন্য এবং সমগ্র রাজ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে সেই কারণে আপাতত এই প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হলো ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এই কথাটি জানিয়ে দিয়েছেন।

আপাতত প্রচেষ্টা প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকছে এবং পরবর্তীকালে এই স্কিমটি অনলাইনের মাধ্যমে করা যায় কিনা এবং অনলাইনে এই স্কিমের ফর্ম দেওয়া হবে কিনা তাও ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।