নিজস্ব প্রতিবেদন : দিনকয়েক ধরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল মুকুল রায়ের তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি নিয়ে। তবে শুক্রবার সেই জল্পনা আরও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র ধরে এক প্রকার নিশ্চিত করা হয় আজ অর্থাৎ শুক্রবারই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে মুকুল রায়ের।
সময় গড়াতে গড়াতেই সেই জল্পনা নিশ্চিতের দিকেই এগোতে শুরু করে। দুপুর আড়াইটা নাগাদ মুকুল রায়কে দেখা তৃণমূল ভবনে আসতে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূল ভবনে আসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। আর তার পরেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন মমতার সেই বিশ্বস্ত সৈনিক।
তৃণমূলে পুনরায় প্রত্যাবর্তনের আগে যখন তৃণমূলের সাথে মনোমালিন্য বসত মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেন, তারপর থেকেই বিজেপি এরাজ্যে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। দেখতে দেখতে লোকসভায় ১৮টি আসনে জয়লাভ করে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই এর জন্য মুকুল রায়ের বেশ কৃতিত্ব রয়েছে বলেও মনে করেন। তবে একুশের বিধানসভায় যে উদ্দম নিয়ে বিজেপি মাঠে নেমেছিল তার ঘুণাক্ষরেও সফলতা আসেনি।
অন্যদিকে ঊনিশের লোকসভায় এই রাজ্যে বিজেপির ভালো ফলাফলের পর মুকুল রায় দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ পান। কিন্তু বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায়কে বিধানসভা নির্বাচনে একপ্রকার বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তাকে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে। তারপর থেকে তাকে শুধু সেখানেই প্রচার করতে দেখা যায়। আর কোথাও দলের হয়ে প্রচারে যাননি। আর ভোটেই তিনি প্রথমবারের জন্য জয়ী হয়ে বিধায়ক হন। তবে তার সাথে সাথেই দলের সাথে কোথায় যেন দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। আর সেই দুরত্বেরই প্রকাশ ঘটলো শুক্রবার।