নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গে যে সকল পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সেই সকল পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম হলো পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা। যেখানে প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটকরা ভিড় জমান। দূর দূরান্ত থেকে আসা এই সকল পর্যটকদের বড় সংখ্যার পর্যটকরা ট্রেনে এলেও অন্যান্য যানবাহনে আসা পর্যটকদের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। ট্রেন ছাড়া অন্যান্য যানবাহনে যে সকল পর্যটকরা আসেন তারা মূলত সড়কপথে যাতায়াত করেন। এক্ষেত্রেই এবার সুখবর। কেননা প্রশাসনের তরফ থেকে নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। যার ফলে দিঘা ট্যুর (Digha Tour) হবে অনেক সহজ এবং আরামদায়ক।
দীঘায় আসা পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘদিন ধরেই জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে একের পর এক নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কখনো দীঘার সমুদ্র সৈকত সাজিয়ে তোলা থেকে শুরু করে কখনো আবার দিঘার আশেপাশে দখল করে থাকা জায়গা থেকে হকারদের সরিয়ে দেওয়া ইত্যাদির কাজ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এসবের মধ্যে এবার পর্যটকরা যাতে আরও সহজে এবং কম সময়ে দীঘা পৌঁছাতে পারেন তার জন্য তৈরি করা হচ্ছে চার লেনের রাস্তা। দীঘায় যে সকল পর্যটকরা যানবাহনের মাধ্যমে যাতায়াত করে থাকেন তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ রাস্তা নিয়ে। রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হয়। এছাড়াও প্রচুর যানবাহনের চাপ থাকার ফলে অনেক সময় জ্যাম লেগে যায়। ফলে সময়ে অনেক পর্যটকরা নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন না।
আরও পড়ুন ? Kolkata Digha Train Fare: এবার আরো সস্তায় দীঘা, রেলের নয়া উদ্যোগে খুশিতে গদগদ পর্যটকরা
এই সমস্যা থেকে উদ্ধার করতে এবার পর্যটকদের জন্য দীঘার যে মূল প্রবেশদ্বার রয়েছে সেই মূল প্রবেশদ্বার পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে গেল। উড়িষ্যা বর্ডার থেকে শুরু করে দিঘার মূল প্রবেশদ্বার পর্যন্ত এমন চার দিনের রাস্তা তৈরি হবে। আগে যে রাস্তা ছিল সেই রাস্তাকেই সম্প্রসারণ করে চার লেনের রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাঁথি মহকুমা শাসক ও দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক সৌভিক ভট্টাচার্য। এই বিষয়ে পূর্ত দপ্তর ডিপিআর তৈরি করার পাশাপাশি কাজ শুরু করে দিয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীঘা ও শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের ২৪ একর জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে। যাতায়াতের এবং পর্যটকদের সুবিধার জন্য ওই সকল জবরদখল করা জমি ডিমারকেশন করা হয়েছে। এবার সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যে সকল জায়গায় জবরদখল করে অনেকে রয়েছেন তাদের কতজনকে পুনর্বাসন দেওয়া যায় সেই বিষয়েও চিন্তা ভাবনা করছে প্রশাসন বলে জানানো হয়েছে।