নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের দরিদ্র পরিবারের কন্যাদের বিয়ের সময় আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প চালু করেছে। যার নাম হল রূপশ্রী প্রকল্প। আর এই প্রকল্প থেকেই এবার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো আট বিবাহিত মহিলার বিরুদ্ধে। যেভাবে পরিকল্পনামাফিক এই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে তাতে তা চোরের ৮৪ বুদ্ধিকেও হার মানাবে।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি ব্লকে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে অভিযুক্ত ওই আট মহিলার বাড়ি ওই ব্লকের নওয়াপাড়া এবং তিলোরায়। ইতিমধ্যেই এই আট জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি অভিযোগের খবর পেয়েই মুচলেকা দিয়ে দুজন হাতিয়ে নেওয়া ২৫০০০ টাকা ফেরত দিয়ে গেছেন।
অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে ছয় জনের মধ্যে মমিনা খাতুন, রুবিনা খাতুন, সমাপ্তি দাস, হাসনিরা খাতুন, লুসিনা খাতুন, মূরশেদা খাতুনের বাড়ি নলহাটি ব্লকের নওয়াপাড়ায়। অন্যদিকে বাকি দুইজন অর্থাৎ গৌরী মাল এবং আশা মালের তিলোরা গ্রামে। এদের মধ্যে দীর্ঘদিন আগেই বিয়ে হয়ে গেছে মমিনা খাতুন, রুবিনা খাতুন, লুসিনা খাতুন এবং মূরশেদা খাতুনের। মমিনা খাতুনের আবার সন্তানও রয়েছে। বাকিদেরও টাকা তোলার আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
এই আট জন অভিযুক্ত মহিলা নিজেদের ভুয়ো বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে এবং অন্যান্য ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের সেই ২৫০০০ টাকা করে হাতিয়ে নেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী তদন্তে নামলে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান ওই আট মহিলা। এখনো পর্যন্ত তদন্তে উঠে আসা এই আটজনের হাতিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ দু’লক্ষ টাকা। তবে সম্প্রতি কেবলমাত্র এই আটজনের ঘটনা সামনে এসেছে। আর এরপরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এমন ঘটনা আর কোথাও নেইতো? কারণ দিন কয়েক আগেই উত্তর দিনাজপুরে ধরা পড়েছিল সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকা তুলে নেওয়ার এক চক্রের।