Schneider investment: কপাল খুলল ডানকুনির! ১০০ কোটি টাকায় নতুন ইউনিট চালু করল ফরাসি সংস্থা

The French company Schneider brought an investment of 100 crore rupees in West Bengal: বর্তমানে বহু বিদেশী কোম্পানির প্রথম পছন্দ হলো ভারত। বহু কোম্পানি এই দেশটিকে বেছে নিয়েছে নিজেদের কোম্পানির হাব তৈরি করার জন্য। ব্যতিক্রম ঘটেনি ফরাসি কোম্পানি শ্নাইডার ইলেকট্রিকের (Schneider investment) ক্ষেত্রেও। গত বৃহস্পতিবার ভারতে তারা উদ্বোধন করেছে নতুন একটি ইউনিটের। এই ইউনিটের প্রধান কাজ হল বেঙ্গালুরুতে ডেটা সেন্টারগুলির জন্যে কুলিং ইউনিট তৈরি করা। প্রকল্পটির জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে শ্নাইডার ইলেকট্রিক।

ভবিষ্যতে ফ্রান্সের এই কোম্পানি (Schneider investment) তরফ থেকে এদেশে বিনিয়োগ করা হবে সব মিলিয়ে প্রায় ৩২০০ কোটি টাকা, এমনটাই দাবি করেছেন সংস্থার ভারতীয় জোনের প্রেসিডেন্ট দীপক শর্মা। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ভারতকে তারা গড়ে তুলবে এই বহুজাতিক সংস্থাটির ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে। সেই কারণেই তারা এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি নিয়েছে।

শ্নাইডার কর্তা দীপক শর্মা কি বলেছেন এই বিষয়ে? তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যেই ভারতকে গড়ে তোলা হবে সংস্থার উৎপাদনকারী হাবে। এমনকি এই দেশ থেকেই পৃথিবীর সমস্ত দেশগুলোতে নিজস্ব কোম্পানির পণ্য রফতানি করতে চায় শ্নাইডার(Schneider investment)। জানলে আশ্চর্য হবেন যে, ফরাসি এই কোম্পানিটি বাংলাকেও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রেখেছে।

আরও পড়ুন 👉 Reliance Jio Mega Campus: কপাল খুলতে চলেছে বাংলার, এই জায়গায় ৬৪ বিঘা জমিতে তৈরি হবে Jio ডেটা সেন্টার

সবথেকে বড় কথা হলো পশ্চিমবঙ্গেও নিজেদের জায়গা পাকা করেছে এই ফরাসি সংস্থাটি(Schneider investment)। পাশাপাশি গুজরাট, তেলাঙ্গানা, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং ওড়িশাতেও পরিকল্পনা করেছে কারখানা তৈরি করার। ইতিমধ্যেই ভারতে শ্নাইডারের ৩০টি কারখানা রয়েছে। তাছাড়া নতুন নতুন কারখানা তৈরি করার জন্যে এরমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে শ্নাইডার।

ভারতে তৈরি নতুন কারখানাটি শ্নাইডারের এদেশে বিস্তারের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আস্তে আস্তে ভারতে বাড়বে ডেটা সেন্টারের সংখ্যা। সেই কারণে ডেটা সেন্টারগুলিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে কুলিং ইউনিট প্রয়োজন। নতুন তৈরি কারখানাটি এই সংস্থার পক্ষে বেশ লাভদায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে এই কারখানায় তৈরি ৮৫ শতাংশ পণ্যই রফতানি করা হবে আপাতত। ফরাসি এই কোম্পানিটি গোটা বিশ্বে এহেন কুলিং ইউনিট তৈরির দ্বিতীয় কারখানা।