নিজস্ব প্রতিবেদন : আধার কার্ডের জন্য নতুন নিয়ম ও আইন আনলো কেন্দ্র সরকার। যা এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই নতুন আইনে আধার কার্ডের সুবিধা বহু মানুষ পাবে। আধার কার্ডের নতুন নিয়মে নতুন শুধুমাত্র মাত্র স্বঘোষণার মাধ্যমে আধারে ঠিকানা বদল করা যাবে। যারা কর্মসূত্রে অন্য জায়গায় থাকেন, ব্যাঙ্কে বা অনান্য কেওয়াইসি জমা দিতে গেলে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এবার নতুন নিয়মে শুধুমাত্র ঘোষণা পত্র জমা দিলেই ঠিকানার পরিবর্তন হয়ে যাবে। আগে কেন্দ্রিয় সরকারের কঠোর আইনের জন্য সমস্যায় পড়তে হতো।
স্বাস্থ্য পরিষেবা ও অনান্য সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে এই নতুন আইন এবার থেকে প্রযোজ্য হবে। যেসব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক ছিল তা আগের মতোই প্রযোজ্য থাকবে। যেমন গাড়ির লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আধার নম্বর।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক উচ্চ আধিকারিক জানান, আধার পরিষেবায় স্বাস্থ্য, কৃষির মতো প্রকল্পগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। যাতে এই নতুন প্রকল্পের সুবিধাও বহু সংখ্যক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। এতদিন ধরে আধার কার্ডের সুবিধা সীমাবদ্ধ ছিল, গুরুত্বপূর্ণ ভর্তুকি প্রকল্পের মতো সীমিত ক্ষেত্রে। মূল লক্ষ্য ছিল সরকারি অর্থ ব্যবহারে দুর্নীতি রোধ।
কেন্দ্র সরকার এই নতুন ধারাগুলি অনান্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পেও ব্যবহারের জন্য খুলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা, ফিনান্সিয়াল পরিষেবার মতো ক্ষেত্রে এতদিন আধার কার্ড প্রয়োজন ছিল না। এই নতুন আইনে এবার তা লাগবে।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ ছিল, আধার কার্ড কেবল মাত্র ব্যবহার করা যাবে সরকারের জনকল্যানমূলক প্রকল্পগুলিতে। সর্বোচ্চ আদালত সেই সময় এও জানায়, ইনকাম ট্যাক্স ফাইল রিটার্নের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক হবে এবং ইউনিক আইডেন্টিটি কার্ড বা আধার কার্ডের সঙ্গে যোগ করতে হবে ব্যক্তির পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে (PAN)। এতে আধার বা প্যান কার্ডে ভুল থাকলে ঠিক করতে ঝামেলা পোহাতে হতো। সরকারের নতুন ওয়েবসাইটে দুটি হাইপারলিঙ্ক আধার বা প্যান কার্ডের ভুল সহজে শুধরে দেবে।
নতুন এই নির্দেশিকায় আধার কার্ড ব্যবহার করা যাবে কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রকল্পগুলিতে। UID বা আধার কার্ডের নতুন নিয়মে নানান প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া সহজ হবে। দেশের যেকোন ব্যক্তি এই সুবিধাগুলি পাবেন। তবে লাগবে আসল পরিচয় পত্র। কারা কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, কারা যোগ্য তা আধার কার্ডের নতুন ধারাগুলির সাহায্য সরকারি কর্তৃপক্ষ সহজে জানতে পারবেন। আইন বহির্ভূতভাবে কেউ এই বিশেষ সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে তাকে সহজে চিহ্নিত করা যাবে ও আইনত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
সরকারি আধিকারিকদের মত, আধার কার্ডের অন্তর্ভুক্ত এই নতুন নিয়ম সত্যিকারের প্রাপকদের কাছে যেমন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাগুলি সহজে পৌঁছে দেবে তেমন আধার কার্ডের ব্যবহারে যে দুর্নীতি তাও রোধ করা সম্ভব হবে।