নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙালি পর্যটকদের কাছে ঘুরতে যাওয়ার জন্য যে কয়েকটি জায়গা সবসময়ই জনপ্রিয় তার মধ্যে একটি হল দিঘা, অন্যটি পুরি এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় দার্জিলিং (Darjeeling)। যে কারণে ঘুরতে যাওয়ার নাম উঠলেই ‘দিপুদা’র কথা বারবার মনে আসে। বর্তমানে শীতের মরশুম শুরু হয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা এখন মোটেই শীতের মত নয়। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় এসবের কারণে দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী।
অন্যদিকে ডিসেম্বর মাস পড়ে যাওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ের মত পর্যটন কেন্দ্রের বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের ভিড়। ইতিমধ্যেই দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকদের আগমন ঘটছে এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। ঠিক যে মুহূর্তে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে ঠিক সেই সময়ই একটি সুখবর পাওয়া গেল। পর্যটকরা এই সুখবর শুনলে আনন্দে লাফাতে শুরু করবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
সমতলের যে সব পর্যটকরা পাহাড় ঘুরতে যান তাদের প্রত্যেকের মনবাসনা থাকে যদি তুষারপাত দেখা যায়। দার্জিলিং এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় আসা পর্যটকদের মধ্যেও এমন আশা থাকতে দেখা যায়। এবার এই বিষয়টি নিয়েই মোটামুটি আশার আলো দেখা যাচ্ছে। নভেম্বর মাস থেকেই দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে দার্জিলিংয়ে মেঘের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। অন্যদিকে সান্দাকফুর তাপমাত্রা আরও কম, সেখানে তাপমাত্রার পারদ ঘোরাফেরা করছে ৫ ডিগ্রির মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে সান্দাকফু এবং তার পাশাপাশি এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই সাদা বরফে ঢেকে যেতে পারে সান্দাকফু বলেই আশা করা হচ্ছে।
মরশুমের ফ্রেস স্নো-ফল উপভোগ করার জন্য ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বহু পর্যটকদের দার্জিলিং এবং তার আশেপাশের এলাকায় পাড়ি দিতে দেখা যায়। তবে সবার পক্ষে এমন মুহূর্তের মুখোমুখি হওয়া সম্ভব হয় না। তবে এই মুহূর্তে পাহাড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ফ্রেস স্নো-ফলের জন্য আদর্শ বলেই মনে করা হচ্ছে। কপাল ভালো থাকলে সান্দাকফু এবং আশেপাশের এলাকায় যেমন স্নো-ফল দেখা যেতে পারে ঠিক সেই রকমই দার্জিলিঙে বসেও স্নো-ফলের আনন্দ উপভোগ করা যেতে পারে।