সংক্রমণ বৃদ্ধির জের, তামিলনাড়ুর ৪ জেলায় ফিরলো কড়া লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদন : আমাদের দেশের মতো দীর্ঘস্থায়ী লকডাউন খুব কম জায়গাতেই দেখা গেছে। চার দফার লকডাউন শেষ।শুরু হয়েছে পঞ্চম দফার লকডাউন। তবু করোনাভাইরাসকে কাবু করা যাচ্ছে না। দেশে করোনাতে সংক্রমণের সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার। ইতিমধ্যে ৯২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, এরপরও প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা‌।

গত মঙ্গল ও বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে নিয়ে একটি বৈঠক করবেন। এই বৈঠকের বিষয় করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠক নিয়ে দেশজুড়ে নানা মহল থেকে নানা রকমের কথা শোনা যাচ্ছে। দেশজুড়ে সংক্রমণের গতি কমাতে আবারও কি তাহলে লকডাউন চালু হতে চলেছে? উঠে আসছে সেই প্রশ্নও।

সেই জল্পনাকে উস্কে দিয়ে তামিলনাড়ুর সরকার ফের জারি করলো কড়া লকডাউন। সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী চারটি জেলায় জারি করলেন কড়া লকডাউন।

এদিকে এদিন তিনি কড়া লকডাউন জারি করলেও দিন তিনেক আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তামিলনাড়ুতে নতুন করে কড়া লকডাউন হবে না। তিনদিন পরই তাকে অন্য পথে হাঁটতে দেখা গেল।

তামিলনাড়ুর কোন কোন জেলায় কড়া লকডাউন জারি হয়েছে?

তামিলনাড়ুর চারটি জেলার মধ্যে রয়েছে রাজধানী চেন্নাই সহ কাঞ্চিপুরাম, তিরুভাল্লুর এবং চেঙ্গলপেট।

কবে থেকে এই চার জেলায় পুনরায় কড়া লকডাউন চালু হতে চলেছে?

আগামী ১৯শে জুন থেকে এই চার জেলায় কড়া লকডাউন চালু হতে চলেছে। জরুরী পরিষেবা ছাড়া কোন কারনেই বাইরে বেরোনো যাবে না। ৩০ শে জুন অবধি চলবে এই লকডাউন।

সবজি বাজার ও দোকান হাটের ক্ষেত্রে তাহলে কী হবে?

এই লকডাউন চলাকালীন সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ২ টো অবধি সবজি, মাছ, মাংস, মুদিখানা ও মোবাইলের দোকান খোলা থাকবে‌। বাদ বাকি সকল দোকানপাট থাকবে বন্ধ।

বাস-ট্যাক্সি অটো পরিষেবার ক্ষেত্রে কী নিয়ম চালু হয়েছে?

লকডাউন চলাকালীন বাস-ট্যাক্সি অটো পরিষেবা দেবে তবে সেটা জরুরি ভিত্তিতে।

ব্যক্তিগত গাড়ি কি ব্যবহার করা যাবে?

ব্যক্তিগত গাড়ি বা স্কুটার ব্যবহার করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটারের বেশি যাওয়া যাবে না।

তিন দিন আগে যে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন লকডাউন হবে না। তার নাম করে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। তিনদিন পর তিনিই ঘোষণা করলেন লকডাউন। কিন্তু কেন তার এই অবস্থান বদল?

আসলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হারে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। তামিলনাড়ু রাজ্যে ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাতে সংক্রমিত। লকডাউন তুলে দেওয়ার ফলে সেই সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সংক্রমণ বৃদ্ধিকে আটকানোর জন্যই মুখ্যমন্ত্রী বাধ্য হলেন পুনরায় লকডাউন ঘোষণা করতে।