পৌষ মেলার ভবিষ্যৎ! দোটানায় বিশ্বভারতী, তাকিয়ে ২৩ এর দিকে

অমরনাথ দত্ত : পরিবেশ আদালতের দিকে তাকিয়েই পৌষ মেলার ভবিষ্যৎ। মেলার দূষণ নিয়ে চরম দোটানায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মাসখানেক আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য পৌষ মেলা ট্রাস্ট এবং অন্যান্য বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, পৌষ মেলার এত ব্যয় ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে বিশ্বভারতীর পক্ষে। আসলেই পৌষ মেলা সবথেকে প্রতিবন্ধকতা হলো দূষণ, যার জন্য বারবার পরিবেশ আদালতে হোঁচট খেতে হয়েছে বিশ্বভারতীকে। যদিও মাসখানিক আগের বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন আশ্রমিকদের একাংশ।

এমত দোটানা অবস্থায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাকিয়ে রয়েছে ২৩ শে অক্টোবরের দিকে। কারণ সেদিন যদি গ্রীন বেঞ্চ আদালত মেলা নিয়ে বিশ্বভারতীকে জরিমানা করে তাহলে পিছিয়ে আসতে পারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে নতুন করে বিধি নিষেধ আরোপ করলে তারা কতটা মানতে পারবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তার উপরও মেলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

প্রাথমিকভাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মেলা নিয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতীর অন্যান্য আধিকারিকদের সাথে একটি বৈঠক করে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মেলা মাঠের জমি বুকিং থেকে শুরু করে সমস্তটাই হবে অনলাইনে। আর চলতি সপ্তাহেই মেলা পরিচালনা নিয়ে একটি কমিটি গঠন হতে পারে।

যদিও পৌষ মেলা প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানিয়েছেন, আদালত কখনোই মেলা বন্ধের পক্ষে নয় বা মেলা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়নি। মেলাকে পরিবেশবান্ধব করে তোলার নির্দেশ দিয়েছে। মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

অতএব বলাই বাহুল্য, আগামী ২৩ শে অক্টোবর গ্রীন বেঞ্চ আদালতে সবকিছু ঠিক থাকলে এবছর ২৩ শে ডিসেম্বর শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা দেখতে পাবে রাজ্যবাসী, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।