General Knowledge: এখন আমাদের দেশে চলছে ২০২৪ সাল। কিন্তু আপনি চাইলেই ফিরে যেতে পারেন ২০১৬ সালে। কথাটা শুনলে অবিশ্বাসও মনে হলেও দীর্ঘ বছর ধরে এমনটাই ঘটে আসছে আফ্রিকার এক রাষ্ট্রে (General Knowledge)। সেখানে বাকি বিশ্বে যা সময় চলে, যা তারিখ চলে তার ঠিক ৮ বছর পুরোনো সময়কাল এইখানে চলে। ঠিক কি কারণে এরকমটা ঘটে আসছে সেই নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।
আফ্রিকার একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাম ইথিওপিয়া । এই দেশের সীমানাতে কেউ পৌঁছে গেলেও তাকে ফিরে যেতে হবে ৮ বছর পূর্বে। আপনি এই স্থানে গিয়ে নিজের রোজকার কাজে হোক বা দোকানে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করায় হোক লিখিত ভাবে আপনি তাতে ৮ বছর পুরোনো সময় দেখতে পাবেন (General Knowledge)। ধরুন আপনি ইথিওপিয়াতে বেড়াতে গেছেন ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি, কিন্তু ইথিওপিয়াতে সেই সময়টি হল ২০১৬ সালের ১লা জানুয়ারি। এমনটা শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও বৈজ্ঞানিক ভাবেও এটিই সত্যিই। এবং এই ঘটনাটি সত্যি হওয়ার পিছনে যথেষ্ট কারণ বর্তমান।
আরো পড়ুন: কর্মীদের জন্য দিওয়ালিতে কি বিশেষ উপহার দিল রিলায়েন্স
আফ্রিকার এই স্বাধীন রাষ্ট্রের সময়কাল পিছিয়ে থাকার মূল কারণ হল ইথিওপিয়ার মানুষজন ব্যবহার করে ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডার। আর সারা বিশ্বের মানুষ ব্যবহার করে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। অর্থাৎ আমরা যেই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি তা ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডারের থেকে ৮ বছর এগিয়ে। শুধু মাত্র সময় দিনকালের হিসেবেই নয় ইথিওপিয়ানরা সারা বিশ্বের থেকে সব কিছুতেই পিছিয়ে আছে। সারা বিশ্বের সাথে তাল মেলানোর জন্য তারা তাদের দীর্ঘ বছর ধরে হয়ে আশা এই রীতি বদলায়নি।
আরো পড়ুন: মালদ্বীপ ছেড়ে ভারত মজেছে এ কোন দেশে! ভারতীয় পর্যটকরা রেকর্ড ভিড় জমালেন চলতি বছরে
আমরা আমাদের ক্যালেন্ডারে দেখে থাকি ১২ মাস হতে, অর্থাৎ জানুয়ারি তে শুরু হয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ইথিওপিয়ার মানুষজন যেই ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে তাতে ১২ মাস নয় আছে ১৩ মাস। অর্থাৎ তারা বছরে মোট ১৩ টি মাস পালন করেন। ইথিওপিয়ার ক্যালেন্ডারে ১২টি মাস হয় ৩০ দিনে। আর বছরের বাকি পড়ে থাকা দিনগুলি নিয়ে তৈরি হয় ত্রয়োদশতম মাস। অর্থাৎ ১৩ মাসে বছর হয় ইথিওপিয়ার।
সাধারণত অন্যান্য দেশ থেকে ঘুরতে যাওয়া মানুষজনকে যখন দিবারাত্রি এই দেশে কাটাতে হয় তখন তাদের পড়তে হয় নানাবিধ সমস্যার মধ্যে। এই সমস্যা পুরোটাই রোজকার দিনযাপন পদ্ধতি বদলানোর (General Knowledge) একটা সময় অভ্যেস হয়ে যাওয়ার পর সম্পূর্ণ আলাদা সময় বসবাস করতে গেলে কিছু অসুবিধা পোহাতে হয় তাদের।