নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে যে সকল মূল্যবান ধাতু রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো সোনা (Gold)। সোনার বাজার দর এখন ৫০ হাজার টাকার বেশি (১০ গ্রাম)। বহুমূল্যবান এই ধাতুর এবার খোঁজ মিলল একেবারে বাংলার অতি নিকটে। বাংলার খুব কাছে তিনটি জেলায় স্বর্ণ ভান্ডারের খোঁজ মিলেছে। স্বর্ণ ভান্ডারের এই খোঁজ মেলায় অর্থনৈতিক পরিকাঠামো বদলের স্বপ্ন দেখছেন সেই সকল জেলার প্রশাসকরা।
জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (GSI) সমীক্ষায় তিনটি জেলায় স্বর্ণ ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই তিনটি জেলা অবস্থিত বাংলার পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশায়। ওড়িশার ইস্পাত ও খনি মন্ত্রী প্রফুল্ল মল্লিক জানিয়েছেন, দেওগড়, কেওনঝাড় এবং ময়ূরভঞ্জে সোনার ভাণ্ডারের খোঁজ মিলেছে। এর পাশাপাশি ওই সকল জেলার কোন কোন জায়গায় স্বর্ণ ভাণ্ডার রয়েছে তারও খোঁজ মিলেছে।
জানা গিয়েছে, কেওনঝাড়ের চারটি স্থান, ময়ূরভঞ্জের চারটি জায়গায় এবং দেওগড়ের একটি জায়গায় সোনার মজুদ পাওয়া গিয়েছে। দিমিরিমুন্ডা, কুশাকলা, গোটিপুর, গোপুর, জোশিপুর, সুরিয়াগুদা, রুয়ানসিলা, ধুশুরা পাহাড় এবং আদাসের মতো অঞ্চলে মাটির নিচে রয়েছে সোনা।
এই সকল এলাকায় ১৯৭০ এবং ১৯৮০-র দশকে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সকল সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। এরই মধ্যে গত দু’বছর আগে নতুন করে GSI সমীক্ষা শুরু করে এবং সেই সমীক্ষার ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। সমীক্ষার ফলাফল সামনে আসতেই উড়িষ্যার এই বিপুল পরিমাণ জায়গায় স্বর্ণ ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া গেল।
তবে ভারতে এই প্রথম কোথাও স্বর্ণ ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এমন নয়। এর আগেও অনেক জায়গায় স্বর্ণ ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এবং সেগুলি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এছাড়াও ইতিমধ্যে ভারতে তিনটি সোনার খনি রয়েছে। যেগুলি হল কর্ণাটকের হুট্টি, উটি খনি এবং ঝাড়খণ্ডের হিরাবুদ্দিনী খনি। ভারতের সোনার উৎপাদন বছরে প্রায় ১.৬ টন। তবে এই উৎপাদন দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় যৎসামান্য। ভারতে বছরে ৭৭৪ টন সোনার ব্যবহার রয়েছে।