দার্জিলিং অনেক হল, এবার মাত্র ১২০০ টাকায় ঘুরে আসুন কাছের এই হিল স্টেশন

Antara Nag

Published on:

Advertisements

কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchanjangha) গায়ে লেগে থাকা ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম পালমাজুয়া (Palmajua)। শহুরে কলরব ভুলে পাখিদের আপন ভুবন হতেই পারে আপনার দিন দু’য়েকের ঠিকানা। যেখানে থাকার জন্য পেয়ে যাবেন সুন্দর সুন্দর হোম স্টে। আর যার খরচ ও হবে অত্যন্ত কম।

Advertisements

চা বাগান-কমলালেবু গাছের ফাঁকে সূর্য ওঠা, দার্জিলিংয়ের (Darjiling) এই লুকানো গ্রামে পাখি, কাঞ্চনজঙ্ঘার সঙ্গে রেড পাণ্ডারও (Red panda) দেখা মিলবে এই গ্রামে গেলে। আপনি চাইলে সামনে ঝোরায় মাছও ধরতে পারেন। কয়েকদিন পা দুলিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার জন্য আদর্শ জায়গা। একবার না যেতে পারলে পর্যটক জীবনই বৃথা।

Advertisements

কুয়াশা আর মেঘ তো পাহাড়ে দেখাই যায়। তবে এই পাহাড়ে মেঘ আসে, টুক করে ঢুকে পড়ে এর ওর বাড়িতে,বারান্দায়। নির্জন এই পাহাড়িয়া গ্রামে হাঁটলেই কুয়াশার (Fog) চাদর যেন আষ্টেপৃষ্ঠে গায়ে জড়িয়ে ধরে। রোদ উঠলেই যেন রূপের বদল ঘটে চোখের পলকে। ঘন নীল আকাশের নীচে পাইন, ওক, বারচ, ধুপির ঠাসবুনোটে মোড়া এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম পালমাজুয়া। কাছেই রয়েছে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান। প্রায় ১৭০ প্রজাতির পাখি দেখাও যায় এখানে। তাই পাখি প্রেমীদের একটি আদর্শ জায়গা এটি।

Advertisements

অপরূপ বৃক্ষবৈচিত্রের মাঝে রয়েছে সুন্দর হোমস্টে। যার খরচও মাত্র হাজার থেকে বারশো। আর এই হোম স্টে গুলোর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের হাঁটাপথে চলে যাওয়া যাবে পালমাজুয়া ভিউপয়েন্টে। চোখের সামনে ধরা দেবে কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ রূপ। শীতে ভোর থেকে প্রায় সারাদিনই হাসিমুখে তার দেখা মেলে। এ ছাড়াও এই ভিউপয়েন্ট থেকে পশ্চিম সিকিমের দারামদিন-কে দেখে নিতে পারেন। এখানকার বন্যপ্রাণের সম্ভার বেশ চমৎকার।

সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের (Singalila National park) অন্তর্গত হওয়ার ফলে গভীর জঙ্গলে বাঁশবনে রেড পান্ডাদের দেখা মেলে। এ ছাড়া প্যাঙ্গোলিনও দেখতে পাওয়া যায়। মাছ ধরার নেশা যাঁদের আছে, চলে যেতে পারেন কাছেই শিরিখোলায়। মনের সুখে মাছ ধরুন, তার পর ভেজে খান। হোমস্টে-তে রাতে নেপালি ট্র্যাডিশনাল ডান্সের আয়োজন থাকে। তাই দুয়েকটা দিন একটু অন্য রকম ভাবে এখানে অনায়াসে কাটিয়ে দেওয়াই যায়।

Advertisements