Electric Bill: দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ ছাড়া থাকা একেবারে অসম্ভব। প্রাত্যহিক জীবনের সমস্ত কাজে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। লাইট, ফ্যান থেকে শুরু করে ফ্রিজ, এসি- সবকিছু চালাতে গেলে আমাদের বিদ্যুতের শরণাপন্ন হতেই হয়। বাইরের তীব্র গরমের হাত থেকে বাঁচতে গেলে ঘরে এসে ফ্যান কিংবা এসির হাওয়া অবশ্যই লাগবে। তবে বিদ্যুতের বিলের কথা চিন্তা করলে সাধারন মানুষ বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে পকেটের টান পড়ে আমজনতার। যদি কিছু সহজ উপায় আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে হাজার হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল আর দিতে হবে না আপনাকে।
বাজারে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব পাওয়া যায়, বাড়িতে যদি সেটাই ব্যবহার করেন তাহলে বিদ্যুতের বিল অনেকটা কম আসতে পারে যেমন LED বাল্ব। এই বাল্বগুলি সাধারণ বাল্বের তুলনায় অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে অর্থাৎ আপনার বিদ্যুৎ বাঁচায়। ফলে আপনাকে বিদ্যুতের বিল (Electric Bill) ও বেশি দিতে হবে না। পকেট বাঁচাতে গেলে এই সমস্ত কাজ অবশ্যই করতে হবে।
বর্তমানে আবহাওয়া অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে এবং গ্রীষ্মকালের তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে ঘরে ঘরেই এখন দেখতে পারবেন এসি। আপনি যদি এসি চালানোর সময় ২৪ ডিগ্রি টেম্পারেচারে রাখেন তাহলে অনেকটাই বিদ্যুতের বিল কম আসবে। এভাবে আপনি সহজেই বিদ্যুতের বিল (Electric Bill) নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। এছাড়া এসি হোক টিভি বা কম্পিউটার যদি ব্যবহার না করেন তাহলে সুইচ বন্ধ করতে ভুলবেন না। তাতে কিছুটা হলেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চাঁদে নয়া অভিযান চালাতে চলেছে ভারত
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে একটি প্রকল্প চালু করেছিল কয়েক বছর আগে যার নাম ‘হাসির আলো প্রকল্প’। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের বিদ্যুতের বিলের উপরে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত এই প্রকল্পের দ্বারা ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিলে ছাড় পেতে চলেছে প্রতিটি পরিবার।
যারা এই প্রকল্পের অধীনে আছেন তারা ৫১-১০০ ইউনিট স্ল্যাবে ২.৫ টাকা প্রতি ইউনিট হিসেবে ১৮৭ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন। তবে সকলে এই প্রকল্পের আওতায় আসবে না। রাজ্যের বিপিএল রেশন কার্ডধারীরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।