Meaty Rice: এসে গেল মাংসের মত স্বাদের ভাত, নতুন আবিষ্কারে ভাত হচ্ছে বিরিয়ানি

You will get the taste of meat only if you cook lab-made Meaty Rice: বাঙালি ভোজনরসিক। নানা ধরনের খাবার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেও বাঙালি যথেষ্ট পারদর্শী। তবে দৈনিক খাবারের জন্য বাঙালির কাছে নানা ধরনের রকমারি তরকারি দিয়ে ভাতের বিকল্প নেই। তাই বিদেশি ভালো মন্দ যাই খাবারে মন মজুক না কেনো, পাতে ভাত না পড়লে তো তৃপ্তি হয় না। তবে এবার বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারে বাজারে এমন একটি চাল এলো যেটি থেকে সাধারণ ভাত রান্না করলেই পাওয়া যাবে মাংসের (Meaty Rice) মতো স্বাদ।

যারা ভাত খেতে পছন্দ করেন তাদের পাতে ভাতের সঙ্গে যদি গরম গরম মাংস পড়ে তবে রসনা তৃপ্তির পাশাপাশি মনও আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে সে কথা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে মাংস রান্না করা বেশ ঝক্কির কাজ। সেই সমস্যা সমাধান এবার করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাগারে তারা এমন একটি চাল তৈরি করে ফেললেন যে চালের (Meaty Rice) স্বাদ সম্পূর্ণ ভাবে মাংসের মত। এই চালের ভাত খেলে আপনার ভাতে আলাদা করে আর মাংস নেওয়ার দরকার পড়বে না।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইওনসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে তৈরি করেছেন বিশেষ ধরনের এই চালটি। এটি মূলত এক প্রকার হাইব্রিড চাল। বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নতুন ধরনের এই চালের নাম দেওয়া হয়েছে মিটি রাইস (Meaty Rice)। বিশেষ সূত্র মারফত জানা গেছে এই চালে বিভিন্ন ধরনের মাংস মেশানো হয়েছে এর স্বাদ তৈরি করার জন্য। সেই সঙ্গে মেশানো হয়েছে মাছও।

আরও পড়ুন 👉 Rice bugs: চালে ধরেছে ছোট কালো কালো পোকা! এবার এই ঘরোয়া উপায়ে দূর হবে একনিমেষে

গবেষণাগারে তৈরি হওয়া নতুন এই চাল অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন মিটি রাইস (Meaty Rice) দেখতে একেবারে সাধারণ চালের মতই। তবে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন সাধারণ চাল এর তৈরি ভাত এর থেকে এই চাল এর তৈরি ভাত অনেক বেশি উপকারী। এর মধ্যে আছে সাধারণ মাংসের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি প্রোটিন এবং ৭ শতাংশ বেশি ফ্যাট।

সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই মিটি রাইস চালটি দিয়ে ভাত রান্না করার পর সেই ভাত ১১ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। শুধু তাই নয়, সাধারণ ঘরের তাপমাত্রাতে এই ভাত রেখে দিলে তা এগারো দিন নষ্ট হবে না। সাধারণত ধান থেকে চাল তৈরি করতে গেলে কৃষকদের দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু এই চাল চাষ করতে হবে না। তাই বিজ্ঞানীরা আশা করছেন কোন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কারখানাতে চালু উৎপন্ন করে দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।