বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে থানায় হাজিরা দিতে নোটিশ পাঠালো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদন : বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে এবার থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হলো। নোটিশ পাঠাল গিরিশ পার্ক থানা। কিন্তু কেন হঠাৎ করে এই বিজেপি নেতাকে থানায় ডেকে পাঠানো হলো? সে বিষয়ে পাঠানো নোটিশ থেকে জানা গিয়েছে, অনুপম হাজরা নাকি একটি ভুয়ো ভিডিও দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন। আর সেই পোস্ট ছিল বিদ্বেষ প্ররোচনামূলক।

বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে নোটিশ অনুযায়ী থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাজিরা দিতে বলা হয়েছে দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৪টের মধ্যে যেকোনো এক সময় গিরিশ পার্ক থানার আই.ও.-র কাছে। বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা নোটিশটি হাতে পান অনুপম হাজরা।

নোটিশ পাওয়ার পরই অনুপম হাজরা আমাদের ফোন মারফৎ তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান। জানান, “এইমাত্র নোটিশ হাতে পেলাম। এতদিন খুব চিন্তায় ছিলাম, রাজ্যের শাসক দলের চাল চুরি থেকে লাশ চুরি এতো ভিডিও ভাইরাল হলো আমার ফেসবুও থেকে, অথচ আমার বিরুদ্ধে পুলিশ একটাও পুলিশ কেস হলো না…সেটা কি হয় !!!??? এমনিতেই রাজ্যে বিজেপি কার্যকর্তাদের কোন বাকস্বাধীনতা নেই। তারপর আমার ফেসবুক থেকে শাসকদলের বিভিন্ন কুকীর্তি ভাইরাল হওয়া, চাল চুরি থেকে লাশ চুরির ঘটনা সামনে আসা – এই সব মিলিয়ে শাসকদলের চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এবং পুলিশ দিয়ে হেনস্থার উদ্দেশ্যেই এই নোটিশ। তবে আমি দেশের আইনকে শ্রদ্ধা করি, ঠিক সময়ে যা করণীয় করবো।”

ফেক ভিডিও পোস্ট করে অশান্তি ছড়ানো ও উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গিরিশ পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩(A), ২৯৫(A), ৫০৪ ও ৫০৫ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, যে পোস্ট ঘিরে এত বিতর্ক সেই পোস্ট করা হয়েছিল মার্চ মাসের শেষের দিকে। সেই পোস্টটি ছিল পুলিশ আক্রান্ত হওয়া নিয়ে। যেটিকে অনুপম হাজরা খিদিরপুরের বলে দাবি করেছিলেন।

এরপর সেই ভিডিও নিয়ে নানান প্রশ্ন করতে থাকে। ভিডিও সত্যতা যাচাই করে পুলিশ সেই ভিডিওটিকে ভুয়ো বলে দাবি করেছে। পুলিশের বক্তব্য ভিডিওটি খিদিরপুরের নয় বরং এটি ভিন রাজ্য মুম্বইয়ের। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ।

প্রসঙ্গত, এই বিজেপি নেতাকে এর আগেও বারংবার ফেসবুক লাইভে এসে রাজ্যের শাসকদলের নানান দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে এর আগেও মামলা রুজু হয়েছে। অন্য একটি মামলায় এর আগেও তাকে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ ডেকে পাঠিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জেরা করেছিল।