Global Teacher: রাস্তায় পড়িয়েই কপাল খুলছে এই শিক্ষকের! মিলতে পারে ৮ কোটি টাকা!

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

The Global Teacher Prize finalist is a ‘Rastar Master’: পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়ায় আপনি খুঁজে পাবেন এক ছোট্ট শান্তিনিকেতন, রবি ঠাকুরের বলা কথাগুলো যেন অক্ষরে অক্ষরে কেউ পালন করছে। গ্রামটি যেন একটা আস্ত পাঠশালা, হঠাৎ করে ঢুকলে অবাক হওয়ারই কথা। কাঁচা ঘরবাড়িগুলোর দেওয়াল কোথাও স্বরবর্ণ আবার কোথাও ব্যঞ্জনবর্ণ লেখা, সাথে আছে আঁকি-বুকিও। আবার কোন দেওয়ালে অংক কষা কিংবা নামতা লেখা আছে। আর যিনি এই কর্মকাণ্ডটি ঘটাচ্ছেন তিনি হলেন দীপনারায়ণ নায়েক (Global Teacher)। যাকে সবাই চেনে রাস্তার মাস্টার হিসেবে।

Advertisements

তিনি জামুরিয়ার তিলকা মাঝি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ‘রাস্তার মাস্টার’ আজকে ফাইনালিস্ট হয়েছেন গ্লোবাল টিচার (Global Teacher) প্রাইজ়ের জন্য। গ্রামের দেওয়ালগুলিকেই বানানো হয়েছে ব্ল্যাকবোর্ড। আর এখানকার রাস্তাগুলি বাচ্চাদের কাছে ক্লাসরুম। সত্যি আজব এই গ্রাম এবং এখানকার মাস্টার। বাচ্চাদের রাস্তায় বসে শিক্ষা দেওয়ার এই কর্মকাণ্ডকে প্রশংসা না করে পারা যায় না।

Advertisements

করোনার সময়ে যখন প্রত্যন্ত গ্রামগুলির পড়ুয়াদের ‘ডিজিটাল ডিভাইড’ নিয়ে কথা হয়েছে, তখনও একেবারে ব্যতিক্রমী ছিল জামুরিয়ার এই স্কুল। বহু বাচ্চা যখন ইন্টারনেটের অভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি তখনও এই গ্রামের বাচ্চারা গ্লোবাল টিচার (Global Teacher) এর সাহায্যে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। দীপনারায়ণবাবুর এই উদ্যোগ গর্বিত গোটা বিশ্ব।

Advertisements

জামুরিয়ার এই মাস্টার ইউনেসকোর সহযোগিতায় আয়োজিত গ্লোবাল টিচার (Global Teacher) প্রাইজ় ২০২৩-এর দশ ফাইনালিস্টের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ১৩০টি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাবিদরা। সেখান থেকে এগিয়ে এসেছেন দীপনারায়ণ বাবু। কোনো শিক্ষক যে এভাবেও শিক্ষা দিতে পারে তা ভাবাও যায়না।

গ্লোবাল টিচার হিসাবে প্রাইজ় দেওয়া হয়ে থাকে ১ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রা হিসাবে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। করোনার সময় সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পড়ুয়াদের সম্পূর্ণ বিকাশের জন্য তার এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে ভীষণভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি শুধু গ্রামের ছোট ছোট পড়ুয়াদের জন্যই নয়, বয়স্ক শিক্ষার দিকেও জোর দিয়েছেন। তার এই প্রচেষ্টাকে ‘দুয়ারে শিক্ষা’র এক বিরাট কর্মসূচি বলা চলে।

Advertisements