Mukutmanipur Tour: অল্প ছুটিতে ঘুরে আসুন মুকুটমণিপুর থেকে, বিচিত্র প্রাকৃতিক শোভা আপনাকে হতাশ করবে না

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Mukutmanipur Tour: পশ্চিমবঙ্গ হল এমন একটি রাজ্য যেখানে পর্যটনকেন্দ্রের কোন অভাব নেই। পাহাড়, সমুদ্র এবং নদীর সম্পূর্ণ বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায় এই রাজ্যে। বাঁকুড়া জেলার মুকুটমনিপুর হল পর্যটকদের কাছে একটি বিশেষ জায়গা। বছরের বিভিন্ন সময় এখানে পর্যটকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। তবে গ্রীষ্মকাল বাদ দিয়ে পুজোর ছুটি কিংবা শীতকালে এখানে পর্যটকদের ভিড় সবথেকে বেশি থাকে। আজকের প্রতিবেদনে জানতে পারবেন পর্যটকদের জন্য এখানে রয়েছে কি কি নিত্যনতুন আকর্ষণীয় জিনিস।

Advertisements

আপনি যদি বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুরে (Mukutmanipur Tour) বেড়াতে এসে থাকেন তাহলে কিন্তু নৌকোবিহার একেবারেই মিস করবেন না। বিভিন্ন ধরনের কাঠের সুসজ্জিত নৌকাতে নৌকাবিহারের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। পর্যটকদের কাছে সবথেকে আকর্ষণীয় লাগবে এখানকার বিভিন্ন নৌকার নাম। প্রত্যেকটি নৌকাকে আলাদা করে বিশেষ বিশেষ নাম দেওয়া হয়েছে। এই নৌকাবিহারের টানে পর্যটকরা বারবার ছুটে আসবে এই জায়গায়। দু’ থেকে তিন দিনের নিম্নচাপে কংসাবতী ড্যামের জল বেড়েছে কিছুটা। পর্যটকরা এই নীল জলের ওপর নৌকা বিহারের আনন্দকে হাতছাড়া করতে চান না।

Advertisements

বহু নৌকা চালকের জীবনযাপন নির্ভর করে রয়েছে এই বাঁধকে কেন্দ্র করে। যারা প্রতি বছর পর্যটকদের কংসাবতী ড্যামকে কেন্দ্র করে ডিয়ার পার্ক, দুই নদীর সঙ্গমস্থল এবং আরও সুন্দর সুন্দর ঘোরার জায়গাগুলি ঘুরিয়ে দেখান। পুজোর ছুটি আসন্ন তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পর্যটকরা মুকুটমণিপুরে (Mukutmanipur Tour) ভিড় জমাবে সেটাই আশা করা যায়। অল্প কিছুদিনের ছুটিতে স্বল্প খরচে এর থেকে ভালো জায়গা আর হতে পারে না। বৃষ্টির কারণে বেড়েছে কিছুটা জলস্তর। পর্যটকদের ভিড় বাড়ার আশা রয়েছে যথেষ্ট।

Advertisements

আরো পড়ুন: কলকাতার হাতের কাছেই রয়েছে পাহাড়, ঝর্ণা, হাতে দুদিন ছুটি পেলেই ঘুরে আসা যায়

আপনি যদি মুকুটমণিপুরে (Mukutmanipur Tour) এসে নৌকাবিহার করতে চান তাহলে দেখবেন অনেক নৌকা সারি দিয়ে দাঁড় করানো রয়েছে ড্যামের ধারে। তাদের মাথায় লেখা আছে তাদের বিশেষ বিশেষ নাম যেমন সোনার তরী, অন্নপূর্ণা, প্রভুজি, কিরণমালা এবং আরও কত কী। এক নৌকাচালক এই বিষয়ে বলেছেন যে, প্রত্যেকে তাদের নৌকায় নিজেদের ইচ্ছা মতোই নাম রাখে এবং তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল পর্যটকদের আকৃষ্ট করা। পর্যটকরা সাধারণত প্রথমবার যে নামের নৌকায় উঠেছিলেন সেই নামের নৌকোকেই খোঁজেন দ্বিতীয়বার। একটি নৌকা প্রশাসনের নিয়ম অনুসারে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করতে পারে।

তবে নৌকাবিহার করার সময় মানুষের সুরক্ষার দিকেও নজর দেওয়া হয়, প্রত্যেক যাত্রীকে দেওয়া হয় লাইফ জ্যাকেট। নৌকোবিহারের তিনটি প্যাকেজ রয়েছে। যারা আড়াই ঘন্টার সর্বোচ্চ প্যাকেজটি নেন তাদের দিতে হয় মাথাপিছু দেড়শ টাকা। ন্যূনতম ১০ জনকে নিয়ে যাত্রা করা হয় অথবা রিজার্ভড ১৫০০ টাকা না হলে নৌকো ছাড়া হয় না। এই প্যাকেজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে দুই নদীর সঙ্গম স্থল, কালী মন্দির, ডিয়ার পার্ক, সোনার বাংলা পার্ক এবং পরেশনাথ মন্দির। তারপর আছে ১ ঘণ্টার “রানিং প্যাকেজ”। এখানে নৌকার সংখ্যা প্রায় ৭০ টি।

Advertisements