Offbeat North Bengal Trip: বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ, আসলে বাঙ্গালীদের জীবন যেন উৎসবে ঘেরা। উৎসব মানেই কাজের থেকে ছুটি এবং ছুটি মানেই অচেনা অজানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ। এমনিতেই বাঙালি হল ভ্রমণপ্রিয় জাতি, একবার যদি কর্মব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি পায় তাহলে ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করে না। উৎসবের মরশুম শেষ হলেও এখনো বাকি রয়েছে বড়দিনের ছুটি। আসন্ন শীতকালে এই ছুটির দিনগুলো যদি পাহাড়ে কাটাতে চান তাহলে নর্থ বেঙ্গলের এই অফবিট জায়গাটি একেবারে আদর্শ।
যদি বছরের শেষ দিনগুলো পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিরিবিলি কাটাতে চান তাহলে আর দেরি করবেন না। অফবিট ডেস্টিনেশন রথখোলা (Offbeat North Bengal Trip) যেন হাতছানি দিচ্ছে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য। “খোলা” শব্দটির একটি আক্ষরিক অর্থ আছে যা হল ছোট নদী এবং এর উৎস খাম্পাং রেঞ্জের নীচে। তিস্তা নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর বেশ কয়েকটি স্রোতের সঙ্গে এটি মিলিত হয়েছে। অন্যান্য সাধারণ পাহাড়ি স্রোতের মতো এটিও বর্ষাকালে বেশ দ্রুত প্রবাহিত হয়, শুষ্ক মরশুমে আবার এর গতি অত্যন্ত ধীর হয়ে যায়। নদীর ধারে অবস্থিত বলেই এর নাম হয়েছে খোলা।
আরো পড়ুন: শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দার্জিলিং থেকে, দেখে আসুন এই ঝর্ণার সৌন্দর্য
একবার যদি এই জায়গায় (Offbeat North Bengal Trip) আসেন তাহলে এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। পাহাড়ি খাবার থেকে শুরু করে, আদিবাসীদের জীবনযাত্রা, নৈসর্গিক নদী উপত্যকা এবং তুষারপাতের প্যানোরোমা সবকিছুই পর্যটকদের এখানে বারবার আকৃষ্ট করবে। গরমকালে যদি কেউ আসে তাহলে বেশ ঠান্ডা আবহাওয়া অনুভব করতে পারবে, আর শীতকালে তাপমাত্রা অনেকটাই নিচে নেমে গেলেও একটা স্নিগ্ধ পরিবেশের আভাস পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: একবার পা রাখলেই মন শান্ত হয়ে যাবে প্রকৃতির আশীর্বাদধন্য এই গ্রামে
বহু পর্যটক ট্রেকিং করতে খুব ভালোবাসেন। তাই যারা অ্যাডভেঞ্চারাস ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন এই জায়গাটি কিন্তু তাদের জন্য একেবারেই উপযুক্ত। পর্বতধারার ট্রেকিং পথ আছে যেগুলি প্রকৃতিপ্রেমী এবং ট্রেকারদের জন্য পারফেক্ট। সামথার উপত্যকা থেকে কালিম্পং পর্যন্ত একটি ট্রেক করতে প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগে তবে এটি কালিম্পং থেকে মাত্র আধা ঘন্টার পথ। ট্র্যাকের প্রথম পর্বটি রেলিখোলায় নেমে আসে এবং তারপরে কালিম্পংয়ের খাড়া আরোহণ।
এখানে একবার আসলে আশেপাশে বহু ঘোরার জায়গা পেয়ে যাবেন। তিনধারিয়ার বৌদ্ধ মঠ এবং চা-বাগান পর্যটকদের মন নিমিষেই ভালো করে দেবে। তিনচুলে থেকে দেখতে পাবেন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য। সাথে বাড়তি পাওনা থাকবে দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য। এখানে আসলে একেবারে মিস করবেন না মোমো, থুকপা, সেল রুটি সহ স্থানীয় তিব্বতি খাবার। আর এদের ব্যবহার চিরকাল মনে থাকবে। কিভাবে আসবেন এই জায়গায়? শিলিগুড়ি কিংবা এনজেপি থেকে গাড়ি ভাড়া করে দার্জিলিং এর পথেই পেয়ে যাবেন এই জায়গাটি (Offbeat North Bengal Trip)। থাকার জন্য চিন্তা করতে হবে না এখানে অনেক হোমস্টে এবং রিসর্ট আছে। বিশেষ পরিচিতি না পেলেও রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য আদর্শ।