একবার ছুঁলেই ছবি! ‘সোনার’ এই ব্যাঙ শেষ করতে ১০ মানুষকে

Antara Nag

Published on:

Advertisements

পৃথিবীর আনাচ কানাচ খুঁজলে অনেক বিষাক্ত প্রাণীর সন্ধান মিলবে। বিষধর সাপ, কীটপতঙ্গ, বিছা এসবের সম্পর্কে আমরা অনেক শুনেছি। কিন্তু বিষধর ব্যাঙ! এমনটাও হয় বলে আমাদের ধারণা আছে কি? কিন্তু সত্যিই এমন এক ব্যাঙের সন্ধান মিলেছে, যার শরীরে আছে মারাত্মক বিষ।

Advertisements

এই ব্যাঙগুলির নাম গোল্ডেন পয়জন ফ্রগ। এই ব্যাঙ গুলি সাধারণত খুব ছোট্ট হয়ে থাকে। এদের আকার দুই ইঞ্চি। তবে কোনো কোনোটা তার থেকে সামান্য ছোটো বা বড়ো হতে পারে। কিন্তু এই ব্যাঙ এর সবথেকে মারাত্মক দিক হলো, এদের বিষ প্রয়োগ ক্ষমতা। এরা বিষ প্রয়োগ করে দশটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলতে পারে সহজেই। কলম্বিয়ার বহু শিকারী শিকার করার জন্য এই ধরনের ব্যাঙের বিষ ব্যবহার করে থাকে।

Advertisements

ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ব্যাঙগুলির বিষাক্ত হবার কারণ সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য নেই। তবে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এই বিষ মূলত গাছপালা এবং বিষাক্ত পোকামাকড় থেকেই ব্যাঙের শরীরে আসে। কারণ , এই প্রজাতির অন্যত্র পালিত ব্যাঙ-এর শরীরে বিষ থাকে না। আর এই ব্যাঙ গুলির শরীরে এতটাই বিষ যে, এদের ছুঁলেই মৃত্যু অনিবার্য। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এই প্রজাতির ব্যাঙগুলিকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার্য করে তোলার চেষ্টা করছেন। তারা বলছেন, এই ব্যাঙ-এর বিষের সাহায্যে ওষুধ তৈরি করা যেতে পারে। এই বিষ দ্বারা যন্ত্রণা নিরাময়ের ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisements

এই ধরনের ব্যাঙগুলির একশো টিরও বেশি প্রজাতি দেখা গেছে। সকলের আকার মোটামুটি এক ইঞ্চির বেশি। আর বেশিরভাগ ব্যাঙ কলম্বিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে রেইন ফরেস্টের একটি ছোট অঞ্চলেই বাস করে থাকে।বর্তমানে রেইনফরেস্টটি ধ্বংসের মুখে। আর সেই সঙ্গে এই বিরল প্রজাতির ব্যাঙের অস্তিত্বও সংকটের মুখে।

এই ব্যাঙ অনেক গুলি রঙের হয়ে থাকে। যেমন হলুদ, কমলা বা হালকা সবুজ। জায়গা ভিন্নতা অনুযায়ী এদের রংও আলাদা হয়। এই ব্যাঙ মাছি, পিঁপড়ে এবং উইপোকা জাতীয় ছোটো ছোটো পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ খেয়ে বেঁচে থাকে। এই ব্যাঙগুলি কোনও ধরনের বিপদের আভাস পেলে ত্বক থেকে বিষ নিষ্ক্রমন করতে থাকে। আর এই বিষ যদি কোনোভাবে মানুষের ত্বকে লেগে যায় তবে তার পরিণাম হয় ভয়ঙ্কর। এমনকি এই বিষ এর প্রভাবে প্রাণহানি অনিবার্য।

Advertisements