নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের বিভিন্ন সময় অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) দূরদূরান্তের পর্যটকদের আগমন হয়ে থাকে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব সময়ই পর্যটকরা ভিড় জমান এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। যদিও মরশুমের ভিত্তিতে পর্যটকের সংখ্যায় কম বেশি লক্ষ্য করা যায়। ঠিক যেমন পুজোর মরশুমে দার্জিলিঙে উপচে পড়ে পর্যটকদের ভিড়। অনেকে তো আবার পুজোর সময় ঘুরতে যাওয়া মানেই দার্জিলিং ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারেন না।
ইতিমধ্যেই দার্জিলিঙে ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রেন থেকে শুরু করে হোটেল সবকিছুর বুকিং প্রায় শেষ। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকরা বিকল্প পথ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কেনইবা খুঁজে বেড়াবেন না, কেননা এবার পুজোয় দার্জিলিঙে আলাদা চমক পেতে চলেছেন পর্যটকরা। দার্জিলিঙে পুজোর সময় এবার আলাদা চমক দিতে চলেছে রেল। পূজোর সময় দার্জিলিংয়ে বাড়তি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এমন চমক দিতে চলেছে।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, রাজ্য তথা দেশ বা বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যে সকল পর্যটকরা দার্জিলিংয়ে ঘুরতে আসেন তাদের অধিকাংশ পর্যটকই টয় ট্রেনের (Toy Train) জয় রাইডে পাহাড়ের গা বেয়ে আঁকাবাঁকা পথে কু ঝিকঝিক করে ভ্রমণের আলাদা মজা নিতে চান। কিন্তু এক্ষেত্রে সবার শখ পূরণ হয় না মূলত সীমিত পরিমাণ টয় ট্রেন থাকার ফলে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবার বাড়তি জয় রাইডের বন্দোবস্ত করেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে দার্জিলিং স্টেশন থেকে ঘুম স্টেশন পর্যন্ত আটটি জয় রাইড করানো হয়ে থাকে। কিন্তু পুজোর সময় পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই সংখ্যা বৃদ্ধি করে ১২টি করা হবে। হিসাব অনুযায়ী জয় রাইড সংখ্যা বাড়ছে চারটি। ১৫ অক্টোবর থেকে এই জয় রাইড বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সকল জয় রাইডের সময়সূচী খুব তাড়াতাড়ি ঘোষণা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এমনিতে এখন যে জয় রাইড রয়েছে তা শুরু হয় সকাল ৯ঃ৩৫ মিনিট থেকে এবং শেষ হয় বিকাল ৪:৩০ মিনিটে। প্রতি রাইডের জন্য সময় লাগে ৫০ মিনিট। এক এক জন যাত্রীর জন্য মাথাপিছু ভাড়া রয়েছে এক হাজার টাকা এবং ১৫০০ টাকা। ট্রেনের ভিত্তিতে ভাড়া আলাদা। এই সকল জয়রাইড করানো হয় দার্জিলিং থেকে ঘুম স্টেশন অথবা ঘুম স্টেশন থেকে দার্জিলিং স্টেশন পর্যন্ত।