বিজ্ঞাপন

দিঘায় এবার মাঝ সমুদ্রে হবে দেদার ফুর্তি! খরচ ১০০০ টাকারও কম

বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের বারো মাসে তেরো পার্বণের মতোই দীঘা (Digha) একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এটি এমন একটি পর্যটন কেন্দ্র যেখানে প্রায় সারা বছরই বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকদের আগমন হয়। স্বাগত পর্যটকদের অধিকাংশই কলকাতা ঘেঁষা হলেও রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেও আগমন হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বিদেশ থেকেও পর্যটকদের আগমন ঘটে দীঘার সমুদ্র সৈকতে।

পর্যটকদের ব্যাপক এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং দীঘা ও শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত এই সমুদ্র সৈকত সাজিয়ে তোলার কাজ চালানো হচ্ছে। কেননা দিঘাকে কেবলমাত্র আর সমুদ্রে স্নান করার জায়গা হিসেবে রাখতে চাইছে না প্রশাসন। বরং এই দিঘার জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি করার জন্য যারা বাইরে থেকে আসছেন তাদের দিন দিন নতুন নতুন মনোরঞ্জনের জিনিস উপহার দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সেরকমই চেষ্টার ফসল হিসাবে এবার দীঘায় এমন এক পরিসেবা চালু করা হচ্ছে যার মাধ্যমে মাঝ সমুদ্রে গিয়ে দেদার ফুর্তি করা যাবে। মাঝ সমুদ্রে গিয়ে দেদার ফুর্তির জন্য অনেকেই আবার প্রচুর খরচের কথা ভাবতে পারেন। কিন্তু তাও নয়। কেননা এই পরিষেবার জন্য পর্যটকদের কাছ থেকে এক হাজার টাকারও কম নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী গভীর সমুদ্রের রূপ দেখানোর জন্য চালু হচ্ছে সমুদ্র বিলাস প্রমোদ ভ্রমণ। দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে প্রমোদ ভ্রমণ পরিষেবা চালু করার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল তা এবার পূজোতেই চালু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে পর্যটকদের সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হবে এবং একঘন্টা সফর করানো হবে। উপভোগ করা যাবে সমুদ্রের সৌন্দর্য, পাশাপাশি পাখিদের কল কাকলী মুখরিত মোহনা তীরের রূপসী ম্যানগ্রোভের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

সমুদ্রের এমন সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য যে প্রমোদ তরী সাজানো হচ্ছে তার নাম এমভি নিবেদিতা। এটি নায়েকালি মন্দিরের কাছে চম্পা নদীর মোহনায় যেটির সামনে সাজিয়ে তোলার কাজ করা হচ্ছে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই প্রমোদ তরী পরিষেবা দেবে। এছাড়াও এটি সম্পূর্ণ বাতানুকূল হবে বলে জানা গিয়েছে। এতে মোট দুটি ডেক থাকবে এবং ৮০ জন পর্যটক বসার জায়গা পাবেন। এছাড়াও এর মধ্যেই থাকবে রেস্তোরাঁ।