Viral Samosa in Bardhaman: চাতরের সিঙাড়ার নাম শুনেছেন কখনো? একবার খেলে যার স্বাদ মুখে লেগে থাকবে সারাজীবন। পূর্ব বর্ধমানের শ্যামসুন্দর গ্রামের একটি মোড়ের নাম চাতর। বর্তমানে এখানকার সিঙাড়াই হট আইটেম। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এমন বহু জিনিস আছে যা মানুষ ঘরে বসেই দেখতে পারে। বিভিন্ন মানুষের অদ্ভুত কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে এমন অনেক জিনিস আছে যা অবাক করে দেয় প্রতিনিয়ত। দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের খবর ঘরে বসেই মানুষ উপভোগ করতে পারে। তেমনি বাংলার একটি গ্রামের সিঙ্গারার জনপ্রিয়তা আজকে তুলে ধরা হবে এই প্রবন্ধে।
বহু মানুষ আছেন যারা মজা করে বলে থাকেন, এই সিঙ্গাড়া (Viral Samosa in Bardhaman) একবার মুখে দিলে তার স্বাদ ভোলার মত নয়। দোকানের সামনে দিয়ে যাদের নিত্যদিনের যাতায়াত তারা কিন্তু একদফা ঢুঁ মারবেনই ওই দোকানে। সিঙাড়া মুখে পড়তে না পড়তেই যেনো মিলিয়ে যাচ্ছে একনিমেষে। বর্ধমানের এই গ্রামের সিঙাড়ার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। এই সিঙাড়া এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আসল কারণ হলো সমাজ মাধ্যম। সমাজ মাধ্যমের দৌলতে এখন তা মানুষের ফোনে ফোনে বেশ চর্চিত।
আরো পড়ুন: কোন দেশে আছে সব থেকে বড় সোনার খনি; মোট সোনার পরিমাণ অবাক করার মতো
কেন এত জনপ্রিয় বর্ধমানের চাতরের সিঙাড়া? কিসের জন্য হঠাৎ করে এত নাম হলো এই সিঙাড়ার? বর্ধমানের এই দোকানে সিঙ্গাড়া (Viral Samosa in Bardhaman) তৈরির কাজ শুরু হয় বিকেল ঠিক তিনটেয়। বিক্রি শুরু হতেই দেখা দেয় ক্রেতাদের লম্বা লাইন। সব সিঙ্গাড়া বিক্রি হয়ে যায় সন্ধ্যে সাতটার মধ্যেই। এই সিঙ্গাড়ার দোকানের মালিকের নাম হল অমলকান্তি হাঁটি। তবে অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চাননি কখনো তাই তিনি এখনও সিঙাড়া ভেজে চলেছেন। প্রায় পঁচিশ বছর ধরে নিজেই বানাচ্ছেন সিঙাড়া, এর দাম হলো ৭ টাকা পিস।
আরো পড়ুন: কলকাতা থেকে খুব বেশি দূর নয়, এবার নৌকা চড়ে পিকনিক করে আসুন এই নদীর তীরে
কি রহস্য লুকিয়ে আছে তার এই সিঙ্গাড়ার পেছনে? অমলকান্তি বলেছেন সিঙ্গাড়া তৈরীর কাজ তিনি নিজে শিখেছেন এবং দীর্ঘ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত তিনি। প্রচুর মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন এই কাজের মাধ্যমে। তার এই জনপ্রিয় সিঙ্গাড়ায় থাকে নারকেল, কিশমিশ, বাদাম, ধনেপাতা, কাশ্মিরী মেথিপাতা আরও নানা জিনিস। তাই স্বাভাবিকভাবেই এর স্বাদ মুখে লেগে থাকার মত। এই সিঙাড়ার (Viral Samosa in Bardhaman) কোনও সিক্রেট মশলা নেই। তবে সমস্ত মশলা নামিদামি ব্র্যান্ডের ব্যবহার করা হয়।।
সম্প্রতি বাবাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসছে তাঁর মেয়ে মুনমুন খাঁ। মেয়ের কথায়, ‘বাবার বয়স হচ্ছে। বেশিদিন এই কাজ একা চালিয়ে যাওয়ার সত্যিই কষ্টকর। প্রতিদিন কমবেশি করে প্রায় ১২০০-১৩০০ সিঙাড়া বিক্রি হয়। ক্রেতারা রীতিমতো তার এই সিঙ্গাড়ার স্বাদে মোহিত। ক্রেতা শেখ ফজলুল হক জানালেন, ‘সিঙ্গাড়ার গুণগতমান এতই ভালো যে কখনই এখানে খালি পাওয়া যায় না। যখনই আসা হয় লাইন দেখতে পাওয়া যায়। অন্য আরেকজন ক্রেতা বলেছেন যে, স্ত্রী ও মেয়ে এই স্বাদের ভক্ত। তাই ১৫ কিলোমিটার দূর থেকেও এখানে আসতে হয় সিঙ্গাড়া কিনতে। দূর দূরান্ত থেকে এখানে এসে ভিড় জমায় ক্রেতারা, এমন সুস্বাদু সিংগাড়া একবার কেন বারবার খেতে মন চাইবে।