নিজস্ব প্রতিবেদন : যানজট এগিয়ে কম সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়ার ক্ষেত্রে জলপথের বিকল্প অন্য কিছু নেই। কেননা জলপথে যেমন যানজটে নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায়, ঠিক সেই রকমই আবার খরচ কম হয়। যে কারণে বহু মানুষ রয়েছেন যারা ভেসেল সার্ভিসের (Vessel Service) উপর নির্ভর করে থাকেন। এবার তাদের জন্য একটি সুখবর দিল রাজ্য সরকার।
মূলত দুর্ঘটনা এড়িয়ে জলপথে যাতায়াতকে যাতে আরও নিরাপদ করা যায় তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ভুটভুটি নৌকা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আর এই উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতেই চালু করা হয়েছিল জলধারা প্রকল্প। আর এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার জন্য সরকারের তরফ থেকে কয়েকশো কোটি টাকা ইতিমধ্যেই খরচ করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে ৫০টি অত্যাধুনিক জলযান ক্রয় করা হয়েছে। তবে কোটি কোটি টাকায় ৫০টি অত্যাধুনিক জলযান ক্রয় করা হলেও যে পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য সরকার নেমেছিল তা পুরোপুরি ভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। কেননা স্থানভেদে গঙ্গার জলের গভীরতা এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২৫টি মতো অত্যাধুনিক ওই জলযান জলে নামানোই সম্ভব হয়নি। আর দীর্ঘদিন ধরে ওই সকল জলযান পড়ে থাকার কারণে তা এখন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে।
তবে এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নতুন এক পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। সম্প্রতি এই বিষয়ে রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং সেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে পড়ে থাকা ওই ২৫ টি অত্যাধুনিক জলযান সারিয়ে আবার জলে নামানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৩ টি নতুন বৈদ্যুতিক জলযান নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং তার জন্য ৩০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে।
রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পড়ে থাকা ২৫ টি অত্যাধুনিক বোটের মধ্যে প্রথমে দুটিকে পুনরায় জলে নামানোর জন্য কাজ করা হবে। এক্ষেত্রে যদি দেখা যায় সেগুলি জলে চলার যোগ্য তাহলে বাকিগুলিকেওএকইভাবে জলে নামানো হবে। আর নতুন ১৩ টি বৈদ্যুতিক অত্যাধুনিক জলযান কেনার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এছাড়াও রো রো পরিষেবা চালু করা হবে।