নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পালাবদল হয় ২০১১ সালে। যে বছর বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের জামানায় দাড়ি টেনে সিংহাসনে বসে তৃণমূল। শাসক দল হিসেবে তৃণমূল রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য নতুন নতুন প্রকল্প শুরু করতে উঠেপড়ে নামেন। দেখতে দেখতে তৃণমূল সরকারের প্রকল্পের সংখ্যা এখন হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি।
তৃণমূল সরকারের তরফ থেকে যে সকল জনদরদী প্রকল্প রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্পটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। এই প্রকল্প এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠার মূল কারণ হলো, রাজ্যের মহিলারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে নগদ টাকা পেয়ে থাকেন। তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে পেয়ে থাকেন এক হাজার টাকা, অন্যদিকে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে পান ৫০০ টাকা।
এই জনপ্রিয় প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করার জন্য রাজ্যের মহিলাদের বয়স হতে হয় ২৫ থেকে ৫৯। এই প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে যেগুলি আবেদনকারীদের মানতে হয়। সেই সকল শর্ত পূরণ করে এখন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তবে অনেকেই রয়েছেন যারা এই প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করার সুযোগ এখনো পাননি বা করা হয়নি। এবার সেই সকল মহিলাদের নাম নথিভুক্ত করার বড় সুযোগ রয়েছে ডিসেম্বর মাসে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সহজেই নাম নথিভূক্ত করার সুযোগ ডিসেম্বর মাসে আসছে, কেননা ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ফের একবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এমনিতে এখন এই প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করার জন্য গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের যেতে হয় নিকটবর্তী বিডিও অফিস, শহরাঞ্চলের মহিলাদের এসডিও অফিস এবং কলকাতার বাসিন্দাদের পৌরসভায়। তবে এই সকল জায়গা না গিয়েই দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে (Duare Sarkar) বাড়ির কাছেই এই প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করা যেতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ডিসেম্বর মাসে এই বছরের শেষ দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। টানা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ছাড়াও অন্যান্য একগুচ্ছ প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এরপর সেই সকল পরিসেবা প্রদানের কাজ শুরু হবে ১ জানুয়ারি থেকে এবং ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ এর মধ্যে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। সুতরাং যারা এখনো পর্যন্ত দূরে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প সহ অন্যান্য প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেননি তাদের হাতে বছরের শেষেই বড় সুযোগ আসতে চলেছে।