Sundarban Transport Department emphasizes the construction of jetties as the Gosaba bridge is not constructed: জঙ্গলপ্রিয় ভ্রমণপ্রেমী ব্যক্তিদের কাছে অন্যতম একটি জায়গা হলে সুন্দরবন। যা বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এই বনভূমি। প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তন জুড়ে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্র। যেখানকার বড় বড় ম্যানগ্রোভ ও অন্যান্য গাছপালা দ্বারা বেষ্টিত ঘন জঙ্গল ও বিভিন্ন পশু পাখি দেখতে ভিড় জমান বহু পর্যটক। আর সেই পর্যটক এবং সুন্দরবনবাসীদের কথা ভেবে নয়া পরিকল্পনা (Gosaba Bridge) গড়েছিল সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তর। কিন্তু কাজের শুরুতেই ভেস্তে গেল সেই পরিকল্পনা। জোর দেওয়া হল বিকল্প ব্যবস্থার উপর। কি পরিকল্পনা করেছিল সুন্দর উন্নয়ন দপ্তর? বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবেই বা কি সিদ্ধান্ত নিলেন?
পর্যটনকেন্দ্র সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি জায়গা হল গোসাবা। বহুদিন ধরেই এই গোসাবার সাথে মূল ভূখণ্ডের সংযোগ স্থাপনের জন্য একটা ব্রিজ (Gosaba Bridge) তৈরির দাবি করা হয়ে আসছিল। তার অনুমোদন দিয়ে ২০১৮ সালে সেই সেতু তৈরির শিলন্যাসও করেছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী। আর্থিক পরিকল্পনাও প্রায় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় সেতু তৈরির নকশা অনুমোদনে।
প্রসঙ্গত, পর্যটক এবং সুন্দরবাসীদের সুবিধার জন্যই এই গোসাবা সেতু তৈরীর পরিকল্পনা করা হয়। যার ফলে সুন্দরবনের পাখিরালয়, গোসাবা এই স্থানগুলি সহজেই গাড়িতে করে চলে যাওয়া যাবে। পাশাপাশি যেহেতু এখানে পর্যটকদের ভিড় জমে সেহেতু আর্থসামাজিক দিক থেকেও এখানে উন্নতি হবে এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা উন্নতি হবে বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এমনকি নির্মাণ কার্যের প্রাথমিক পর্যায়ও শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই সেতু নির্মাণের জন্য ২৮৫ কোটি টাকা ব্যয় করার কথাও হয়েছিল। কিন্তু নকশা অনুমোদনে তৈরি হয় সমস্যা। এই সেতুর নকশা তৈরীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল সিআরজেডের কাছে। কিন্তু CRZ-এর তরফে এই অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যার ফলেই বন্ধ হয়ে যায় গোসাবা সেতু নির্মাণের কাজ।
আরও পড়ুন ? Sundarbans: সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়ার দিন শেষ! আজ থেকে বন্ধ, জেনে নিন ফের কবে খুলবে
তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে দুটি ভাসমান জেটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তর। মূলত সেতু তৈরি হলে পর্যটক সহ সুন্দরবনবাসী সকলেরই খুবই উপকার হত। কিন্তু সেই সেতু নির্মাণ অসম্পূর্ণ হওয়ায় পল্টুন জেটি নিয়েই খুশি থাকতে হবে পর্যটক সহ সুন্দরবনবাসীদের। যাতায়াতের জন্য এই সেতুর উপরেই ভরসা করতে হবে সকলকে।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে সেই পল্টুন জেটি তৈরির কাজ। এই দুই ভাসমান জেটি তৈরিতে বরাদ্দ হয়েছে মোট ৪৬ কোটি টাকা। যার মধ্যে সুন্দরবন পরিবহন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। যা দিয়েছে সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তর। অপরদিকে গোসাবা সেতু (Gosaba Bridge) তৈরির কাছে ছেদ পড়ায় নির্মাণ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি নিয়ে স্থানান্তর করেছে ঠিকাদারি সংস্থা। তবে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় এই জেটির উপরেই ভরসা করে জেটি তৈরির কাজে জোর দিচ্ছে সুন্দরবন পরিবহন দপ্তর।