নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২০ লক্ষ কোটি টাকার ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্যাকেজের তৃতীয় দফার রূপরেখা শুক্রবার বিকালে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রথম দফায় ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতি ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ঘোষণায় পরিযায়ী শ্রমিক, হকার, মহিলা শ্রমিকদের সুরক্ষা, শ্রম আইনের পরিবর্তন ইত্যাদি নানান পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। আর তৃতীয় দফায় নির্মলা সীতারামন কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, দুগ্ধজাত পণ্যের ক্ষেত্রে আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণার কথা জানান।
প্যাকেজ ঘোষণার সময় এদিন তিনি জানান, ১ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে রয়েছে মোট ১১ টি ত্রাণ প্যাকেজ। যার মধ্যে আটটি রয়েছে মূলত পরিকাঠামো ও সংযোগ ব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্য আর বাকি তিনটি রয়েছে প্রশাসনিক স্তরের পরিবর্তনের জন্য।
অর্থমন্ত্রী এদিন আরও জানান, লকডাউন চলাকালীন অর্থাৎ বিগত দুই মাসে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কৃষকদের থেকে ৭৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকার খাদ্যশস্য কেনা হয়েছে। আর এই সকল খাদ্যশস্যের টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করা হয়েছে। গত দু’মাসে প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
করোনা আবহে দেশে দুধের চাহিদা কমে গেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। আর এই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করার জন্য ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দুগ্ধ সমবায় সমিতিগুলির ঋণের সুদের উপর ২ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। এর ফলে উপকৃত হবেন দেশের ২ কোটি মানুষ, যারা দুধ ব্যবসার সাথে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি ১৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে দুগ্ধ শিল্পের জন্য।
Govt to launch the Rs 20,000 crore Pradhan Mantri Matsya Sampada Yojana for development of marine and inland fisheries. 55 lakh people expected to get employment from this program: FM pic.twitter.com/wkbGVcyRCr
— ANI (@ANI) May 15, 2020
মৎস্য চাষীদের জন্য ২৪২ টি হ্যাচারীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরা অথবা মাছ চাষ করার ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী মৎস্যসম্পদ যোজনায় ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আর এই সকল সিদ্ধান্তের কারণে ৫৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এমনটাই এদিন জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন।