Car companies like Tata, Maruti coming to the state; The government explained the reason: বর্তমানে ভারতের অটোমোবাইল শিল্প উন্নত প্রযুক্তিতে নিজেকে সাজিয়ে তুলছে। বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজারে ভারতের স্থান জল তৃতীয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দু চাকা থেকে শুরু করে চার চাকা সবেতেই আছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের অবদান এর পিছনে কম নয়। কোন এক সময় এ রাজ্যেই তৈরি হতো হিন্দুস্তান অ্যাম্বাসাডার যা পৌঁছে যেত সারা দেশে। বর্তমানে কারখানা দিয়ে বন্ধ এবং পশ্চিমবঙ্গের অটোমোবাইল শিল্পেও মন্দা দেখা দিয়েছে। এর পিছনে অবশ্যই সাধারণ মানুষ দায়ী করেছেন সিঙ্গুর থেকে টাটার চলে যাওয়াকে। কিন্তু সম্প্রতি জানা যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গ এও খুলতে পারে অটোমোবাইল হাব। কেন অটোমোবাইল সংখ্যাগুলো (Auto Mobile Companies) বেছে নেবে এই রাজ্যকে? কারণ জানতে অবশ্যই চোখ রাখুন প্রতিবেদনটিতে।
বাংলায় খুলতে পারে একাধিক অটোমোবাইল হাব কারণ, এখানে আছে ঐতিহ্যবাহী অটোমোবাইল শিল্পের মজবুত ভিত্তি। এছাড়া এরাজ্যে রয়েছে উৎপাদনের ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা এবং একত্রে একাধিক স্টিল প্লান্টের উপস্থিতি। খুব সহজেই বাংলা হয়ে উঠতে পারে আদর্শ একটি অটোমোবাইল হাব কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহা, স্টিলের মতো কাঁচামালের জোগান রয়েছে এখানে। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে একাধিক বন্দরের সুবিধা যা ভারতের থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে গাড়ি রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জনপ্রিয় অটোমোবাইল সংস্থাগুলো (Auto Mobile Companies) তাদের গাড়ির হাব বানানোর জন্য সহজেই বেছে নেবে এই রাজ্যকে।
অটোমোবাইল শিল্পে বিপ্লব আসার পিছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে সেগুলি হল, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এ রাজ্যে মানুষের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি এবং সাথে সাথে আয় বৃদ্ধি ও দ্রুত নগরায়ণ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে প্লাগ অ্যান্ড প্লে (Plug and Play) পরিকাঠামো এবং নীতি সহায়তা বা পলিসি সাপোর্ট। পাশাপাশি রাজ্যে আছে একাধিক সমৃদ্ধ ইন্ডাস্ট্রি পার্ক। বাঁকুড়া জেলার প্লাস্টো স্টিল পার্ক, হাওড়া জেলার রাবার পার্ক, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ও মাল্টি প্রোডাক্টস পার্ক ইত্যাদি যা বিভিন্ন গাড়ির সংস্থাগুলোকে (Auto Mobile Companies) আকৃষ্ট করতে যথেষ্ট।
সরকারের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে, এবার থেকে সরকার যে কোনো রকম বিদেশী লগ্নিতে ১০০ শতাংশ অনুমোদন দেবে। এর পাশাপাশি নতুন সংস্থাগুলির জন্য নূন্যতম মূলধন ধারা রাখা হবে না। নতুন চিন্তাধারাকে গ্রহণ করে রাজ্যের অত্যাধুনিক সফটওয়্যার প্রযুক্তিকে অটোমোটিভ প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হবে। পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বলা যায় যে, ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এ রাজ্যের অটোমোবাইল শিল্প বার্ষিক ১১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এটি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪.৮ শতাংশ।
অটোমোবাইল শিল্পে উন্নতি করার যাবতীয় উপকরণ মজুত আছে এই রাজ্যে। অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (OEM) সংস্থাগুলির আধিপত্য এই রাজ্যে অনেকটাই বেশি। জানলে অবাক হবেন যে এই রাজ্যে বোল্ট থেকে শুরু করে শ্যাফ্ট, রেডিয়েটর এবং অ্যাক্সেল এর মতো জটিল পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা রয়েছে। তাই সরকার জোর দিয়ে বলতে পারে টাটা কিংবা মারুতি সুজুকির (Auto Mobile Companies) মতো নামিদামি অটোমোবাইল সংস্থাগুলো সহজেই এইখানে নিজেদের অটোমোবাইল হাব গড়ে তুলতে পারবে।