The government gave a big update on the Leave Travel Concession: দেশ জুড়ে হয়ে গেল ৭ দফার লোকসভা ভোট। দিল্লি দখলের লড়াই। ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ব্যস্ত প্রতিটি সরকারি কর্মচারী। ভোট এবং ফলাফল ঘোষণা সবই হয়ে গেছে। এখন অপেক্ষা শুধু সরকার গঠনের। কিন্তু তার আগেই লোকসভা ভোট চলাকালীন, কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য নির্দিষ্ট একটি ভাতার পরিবর্তন করা হয়েছে। যার প্রভাব সরাসরি মূল বেতনের উপর পড়তে পারে। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য লিভ ট্রাভেল (Leave Travel Concession) এর ব্যাপারে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।
বহু মানুষ কে কর্মসূত্রে থাকতে হয় বাড়ির বাইরে তাই বাড়ি যাবার জন্য অথবা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময়, ঘুরতে যাবার খরচ বাবদ কিছু পরিমাণ অর্থ ভাতা (Leave Travel Concession) হিসেবে পেয়ে থাকেন সরকারি কর্মচারীরা। ওই ব্যক্তি ১০ দিনের জন্য এনক্যাশম্যান্ট পেয়ে থাকেন সরকারের পক্ষ থেকে। এই ভাতা গুলি পাবার জন্য সরকারি কর্মচারীটিকে আবেদন করতে হয় সরকারের কাছে। এবার সরকারি কর্মচারীদের এই ভাতাগুলির আবেদন প্রক্রিয়াতেই করা হলো বিরাট পরিবর্তন। ৩০ শে এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের ভাতা সংক্রান্ত পরিবর্তিত নিয়ম সমৃদ্ধ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের কর্মী ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের তৎপরতায় নতুন নিয়ম কার্যকর করা শুরু হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ভাতা সংক্রান্ত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যারা লীভ ট্রাভেল কন্সেশনের (Leave Travel Concession) আওতাধীন তারা ৪ বছরে মাত্র ২ বার এই সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রথম ২ বছরে ১ বার বাড়ি যাওয়ার জন্য এবং পরবর্তী ২ বছরে বাড়ি অথবা ভারতের যে কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য ছাড় দেওয়া হবে সেই কর্মচারীকে। সাধারণত কোন ব্যক্তির কর্মজীবন ১ বছর অতিক্রম করলে তবেই সেই ব্যক্তি লিভ ট্রাভেল কনসেশনের আওতায় যুক্ত হতে পারেন। এই প্রক্রিয়া সরকারি অথবা চুক্তিভিত্তিক উভয় কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কারা এই কনসেশনের জন্য যোগ্য? আর কারা যোগ্য নয়? সরকারি সিভিল সার্ভিস এর সাথে যুক্ত কর্মচারীরা, অসামরিক বিভাগীয় কর্মচারীরা, চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মচারীরা, কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে থাকা রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা, এমনকি রিটারমেন্ট প্রাপ্ত কর্মচারীরাও লিভ ট্রাভেল কনসেশনের সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু সামরিক দূতাবাস, সামরিক বাহিনী, রেল দপ্তর, ভারতীয় হাই কমিশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিরা এই ভাতার আওতাধীন নয়। তারা এই সরকারি ভাতার কোন সুযোগ সুবিধা পাবার যোগ্য নন। তাদের ক্ষেত্রে কনসেশনের নিয়ম একেবারেই আলাদা।
সরকারি কর্মচারীদের ভাতা সংক্রান্ত নতুন নিয়মাবলী অনুযায়ী, যেকোনো সরকারি কর্মচারীর কর্মজীবন ১ বছর অতিক্রম করলেই সে লিভ ট্রাভেল কনসেশনের (Leave Travel Concession) আওতায় যুক্ত হতে পারে। এমনকি কোন চুক্তিভিত্তিক কাজে নিযুক্ত কর্মচারীও যদি ১ বছর কাজ করার পর পুনরায় তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়, তাহলে তিনিও এই সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। যারা রিটারমেন্ট করছেন তারা যদি রিটারমেন্ট এর পর সাথে সাথে অন্য কোন চাকরিতে নিযুক্ত হন তাহলে তাদের ক্ষেত্রেও একই ভাবে প্রযোজ্য থাকবে এই সুযোগ সুবিধা। সেক্ষেত্রে সার্ভিস ব্রেক হিসেবে দেখা হবে না বিষয়টিকে। নতুন নিয়মাবলী অনুযায়ী, শুধু কর্মচারী নয় কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদেরকেও এইটিসির আওতায় যুক্ত হবার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।