Government Megabus Mission: ভিড় বাসের ঠেলাঠেলি ভুলে যান, আসছে নয়া ইলেকট্রিক বাস

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Government Megabus Mission : নিত্যদিনের যাত্রায় বাস হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহনের মাধ্যম। কিন্তু রাস্তায় বেরলে বাসের দেখা মেলে না। যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় বাসস্ট্যান্ডে কিন্তু তারপরেও বাসের জন্য নানারকম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। ভিড় বাসে কাজের জায়গায় পৌঁছতে পৌঁছতে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা হয়ে যায় সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন বাসগুলোর সম্পর্কে যাত্রীদের প্রচুর অভিযোগ থাকে। যাত্রীদের স্বস্তি দিতে এইসব সমস্যার সমাধান হতে চলেছে খুব শিগগিরই। কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের যাত্রাকে আরো আরামদায়ক ও সহজ করে তুলতে নিয়েছে এক উদ্যোগ। রাস্তায় নামানো হবে ১ লক্ষ নতুন ইলেকট্রিক বাস।

Advertisements

কেন্দ্রীয় সরকার জনগণের সুবিধার্থে নানারকম প্রকল্প চালু করে থাকে বেশিরভাগ সময়। তার মধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো, ভারত আর্বান মেগাবাস মিশন(Government Megabus Mission)। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৫টি শহরে মোট ১ লক্ষ নতুন ইলেকট্রিক বাস চালু হবে খুব শীঘ্রই। সব শহরেই কি এই সুবিধা চালু হয়ে যাবে? এই প্রকল্পটি পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে এবং যে শহরগুলোতে জনসংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি, সেখানে নতুন ইলেকট্রিক বাস চালু করা হবে। শুধুমাত্র নতুন ইলেকট্রিক বাস নয় এর পাশাপাশি নতুন বাস ডিপো, টার্মিনাস ও বাস স্টপও সবকিছুই পাবেন এইসব শহরগুলির বাসিন্দারা। এছাড়াও তৈরি করা হবে ৫০০০ কিলোমিটার সাইকেল-বান্ধব রাস্তাও। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের জন্য খরচ হবে আনুমানিক ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা।

Advertisements

সূত্র মারফত জানা গেছে যে প্রকল্পটি শুরু হবে আগামী ২০২৫ সালে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২০২৯-৩০ সাল। প্রকল্পটি একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষ এর ফলে অনেকটাই উপকৃত হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প (Government Megabus Mission) চালু করার প্রধান উদ্দেশ্য হল, গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো, পরিকাঠামো উন্নয়ন, দূষণ কমানো এবং আর্থিক বৃদ্ধি।

Advertisements

আরো পড়ুন: ২০-২৫% কম বিমান ভাড়া! কি ভাবছেন? আজই বুক করুন এই ফ্লাইটগুলির টিকিট

এই প্রকল্পের (Government Megabus Mission) মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করেছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে গণপরিবহন ৬০ শতাংশ বাড়াতে হবে। এর ফলে দূষণও কমবে এবং পরিবহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। ধীরে ধীরে ২০৩৬ সালের মধ্যে তা ৮০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে।

ইলেকট্রিক গাড়ির পাশাপাশি সাইকেল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকার জোর দিচ্ছে। তারা বারবার বলছে সাইকেলগুলো একটি পরিবেশবান্ধব যানবাহন। বাসস্টপ থেকে খুব সহজেই অফিস কিংবা বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়া যেতে পারে সাইকেলের মাধ্যমে। শরীর স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে তেমনি দূষণ কমবে ও যানজটেও সমস্যা হবে না। এই কারণেই রাস্তায় আলাদাভাবে সাইকেল ট্র্যাক তৈরি এবং সাইকেল ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisements