সরকারি চাকরিতে দিতে হবে না ইন্টারভিউ, আমূল পরিবর্তন ২৩ রাজ্যের

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি চাকরি ব্যবস্থায় ইন্টারভিউ প্রথা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানান বিবাদ রয়েছে। চাকরি পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ এই ইন্টারভিউ প্রথার ক্ষেত্রেই নানান বেনিয়ম হয়ে থাকে। আর সেই বেনিয়মের শিকার হয়ে যোগ্যপ্রার্থীরাও চাকরির সুযোগ হাতছাড়া করেন। এই জায়গায় লাগাম টানতে পাঁচ বছর আগে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

পাঁচ বছর আগে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জানিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে (Government Job) গ্রুপ সি (Group C) পদে নিয়োগের জন্য আর কোন ইন্টারভিউ দিতে হবে না। কেবলমাত্র লিখিত পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হবে এবং সেই ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। একই পদ্ধতির কথা বলা হয়েছিল গ্রুপ বি (Group B) নন গেজেটেড চাকরির ক্ষেত্রেও নিয়োগের জন্য। পাশাপাশি বলা হয়েছিল একমাত্র অতি উচ্চপদ চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ দিতে হবে।

কেন্দ্র সরকারের এই ঘোষণার পথেই এবার হাঁটলো দেশের ২৩টি রাজ্য। পাশাপাশি ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও এই একই প্রথা চালু হলো। দেশে মোট ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ২৩টি রাজ্য কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের পথে হাঁটায় কেন্দ্র সরকারের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

ইন্টারভিউ প্রথা উঠে যাওয়ায় কতটা সুবিধা পাবেন চাকরি প্রার্থীরা?

ইন্টারভিউ প্রথা উঠে যাওয়া নিয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে এর ফলে চাকরি প্রার্থীদের হ্যাপা কমবে। এর পাশাপাশি নতুন এই ব্যবস্থার ফলে চাকরিপ্রার্থীরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মানসিক যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন। কারণ হিসেবে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে চাকরি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হওয়ার পর ফল প্রকাশ এবং ফল প্রকাশের পর থেকে ইন্টারভিউ পর্যন্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হতো। এখন সে জায়গায় তারা মুক্তি পেতে চলেছেন। কারণ পরীক্ষার ফল প্রকাশ পেলেই চাকরি সম্পর্কে নিশ্চয়তা চলে আসছে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী সরকারি চাকরির নিয়োগে ইন্টারভিউ প্রথা তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন ২০১৫ সালের স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখার সময়। তারপর গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যগুলি তৎক্ষণাৎ এই ঘোষণাকে কার্যকর করার পথে হেঁটে ছিল। অপরপক্ষে বাকি রাজ্যগুলি এই ঘোষণা থেকে অনেকটাই দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও পাঁচ বছর পর দেশের ২৩টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণাকে স্বীকার করে নিলো।